বসুন্ধারা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে প্রথম ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৩৮ রান জড়ো করে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন দেবাশীষ। এছাড়া ইমরানের ব্যাট থেকে আসে ৩৫ রান। সিটি ব্যাংকের পক্ষে প্রিয়ম শিকার করেন তিনটি উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১ ওভার ও ৩ উইকেট হাতে রেখে শিরোপা নিশ্চিত করে সিটি ব্যাংক। ৩২ রানে অপরাজিত থেকে ফাইনাল সেরার পুরষ্কার জেতেন আল আমিন। এছাড়া মামুন ২৬ ও হাদিয়া জামান ২৪ রান করেন। চ্যাম্পিয়ন দল ৫ লাখ ও রানার-আপ দল ৩ লাখ টাকা অর্থ পুরষ্কার পেয়েছে।
টুর্নামেন্টে পর্যায়ে শিরোপা জিতেছে ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড। বোল পর্যায়ের ফাইনালে স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংককে হারিয়েছে দলটি। এছাড়া প্লেট পর্যায়ে ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড চ্যাম্পিয়ন ও ন্যাশনাল ব্যাংক রানার-আপ হয়েছে।
বিভিন্ন ব্যাংকের হয়ে এবার টুর্নামেন্টে অংশ নেন নিয়ামুর রশিদ রাহুল, তারেক আজিজ, মাহমুদুল হাসান রানার মত প্রায় ৪৫ জন প্রাক্তন ক্রিকেটার। সফল টুর্নামেন্ট আয়োজন শেষে এইসের প্রধান নির্বাহী ইশতিয়াক সাদেক বলেন, ‘বিসিটি আয়োজনের সবচেয়ে বড় সাফল্য হল- ক্রিকেটারদের সুরক্ষিত ভবিষ্যত নিশ্চিত হয়েছে। যারা পেশাদার ক্রিকেট খেলেন তাদের অনেকেই নিজেদের ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কায় থাকেন। কিন্তু, বিসিটি আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনেকেরই কর্মসংস্থান হয়েছে, ভবিষ্যতে সংখ্যাটা আরও বাড়বে। ক্রিকেটারদের স্বার্থেই আমরা এই উদ্যোগ চালিয়ে যেতে চাই।’
টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেয়েছেন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের রানা কুমার রায়। এছাড়া ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ফাহিমুল হক সেরা ব্যাটার, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের হাবিব তালুকদার সেরা বোলার, ন্যাশনাল ব্যাংকের রনি মাহমুদ সেরা ফিল্ডার ও সিটি ব্যাংকের হাদিয়া জামান সবচেয়ে মূল্যবান খেলোয়াড়ের পুরস্কার পেয়েছেন।