বড়পুকুরিয়া খনি থেকে ৫৭ দিন পর কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার প্রথম দিনেই ২০০ টন কয়লা উত্তোলন হয়। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খনির ১৩০৬ নম্বর ফেজে কয়লার মজুদ শেষ হলে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি উত্তোলন বন্ধ হয়। এর আগে, গত বছরের ৪ জুলাই খনির ১১১৩ নম্বর ফেজের সড়ক উন্নয়ন শুরু হয়। কিন্তু, ভূগর্ভস্থ রাস্তা উন্নয়নের সময় পরপর দুটি ছাদ ধসের ঘটনা ঘটে। সে সময় কর্তৃপক্ষ সেখানে কয়েকটি সমস্যা শনাক্ত করে। পরে বিসিএমসিএল এবং ঠিকাদারি চীনা কোম্পানি সিএমসি-এক্সএমসি কনসোর্টিয়াম খনির সামগ্রিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে রাস্তার কাজ স্থগিত করে। তারা কয়লা উৎপাদন পুনরায় শুরু করতে ভূগর্ভস্থ নকশা পরিবর্তন ও ৯০ মিটার দীর্ঘ সড়ক নির্মাণ শুরু করে।
ওই কাজ শেষে জুনের প্রথম সপ্তাহে কয়লা উত্তোলন শুরু করার ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লার চাহিদা ও এসএসসি পরীক্ষার সময় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নির্ধারিত সময়ের আগে কয়লা উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। নতুন এই ফেজে ৩ লখ টন কয়লা রয়েছে, যা ৪ মাসের মধ্যে উত্তোলন করা সম্ভব বলে ধারণা করছে খনি কর্তৃপক্ষ।
খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম সরকার বলেন, দুইটি দুর্ঘটনার পরও নির্ধারিত সময়ের এক মাস আগে কয়লা উত্তোলন শুরু করা সম্ভব হয়েছে। উৎপাদিত কয়লা বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ব্যবহার হবে।