ভারতে শুক্রবার (৭ আগস্ট) বিমান দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০ জনে দাঁড়িয়েছে। এর আগে প্রাথমিকভাবে অন্তত ১৬ আরোহীর মৃত্যুর কথা বলা হয়েছিল। তবে এখন পর্যন্ত পাইলট ও তার সহকারীসহ অন্তত ২০ জনের মৃত্যুর কথা জানা গেছে বালে রাতে সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে ১২৩ জন। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা গুরুতর। শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতেই উদ্ধারকাজ শেষ হয়েছে।
প্রায় ২০০ আরোহী নিয়ে দুবাই থেকে ফিরছিল এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের বিমানটি। স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ৮টার আগে ভারী বৃষ্টিপাতের মধ্যে অবতরণের সময় এটি দুর্ঘটনায় পড়ে। বিমানটিতে মোট ১৭৪ জন প্রাপ্তবয়স্ক যাত্রী, ১০টি শিশু এবং পাঁচ জন কেবিন ক্রু ছিলেন। করোনাভাইরাস মহামারির সময়ে বিভিন্ন দেশ থেকে ভারতীয় নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার অংশ হিসেবেই এটি কালিকট বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
ভারতীয় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক বার্তা সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, ভারী বৃষ্টিপাতের মধ্যে অবতরণের সময় বিমানটি পূর্ণ গতিতে ছিল। সেটি রানওয়ে থেকে পিছলে বেরিয়ে যায়।
টুইটারে দেওয়া পোস্টে ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি জানিয়েছেন, এ ঘটনা তদন্তে ইতোমধ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
দুই বার প্লেন ল্যান্ড করতে গিয়ে পাইলট ব্যর্থ হন বলে জানা গেছে। বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি জানান, বৃষ্টির মধ্যে পিছলে যায় বিমানটি। বিমানবন্দরের দেয়াল ভেঙে সেটি ৩৫ ফুট এগিয়ে যায়। বিমানটি দুই টুকরো হয়ে গেছে।
কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেছেন, পুলিশ ও দমকল বাহিনীকে প্রয়োজনীয় যাবতীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। যাতে উদ্ধারকাজ ঠিকভাবে হয় ও সুচিকিৎসার বন্দোবস্ত হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা হয়েছে।