দেশে সয়াবিন ও পাম অয়েলের আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার -এর অনুমোদন দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। অর্থমন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) দুপুরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এখন যে কোনো সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ভ্যাট প্রত্যাহার বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে।
এর আগে সোমবার স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং ব্যবসায়ী পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয় এনবিআর।
বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়তে থাকায় গত কিছুদিন ধরেই হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে বিক্রেতারা দাম বাড়াতে থাকায় সরকারকে উদ্যোগী হতে হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ভোজ্যতেলে তিন স্তরে ভ্যাট ছিল। এর মধ্যে আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ, স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ও ব্যবসায়ী বা খুচরা বিক্রি পর্যায়ে ৫ শতাংশ। এর মধ্যে আগেই স্থানীয় উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর মঙ্গলবার আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট ১০ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। সংশ্নিষ্টরা আশা করছেন, এতে এই দুই ধরনের তেলের দাম কিছুটা কমবে।
দেশে বছরে ২০ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে ১৮ লাখ টনই আমদানির মাধ্যমে মেটানো হয়। আমদানি হয় প্রধানত সয়াবিন ও পাম তেল। এই দুই ধরনের তেল পরিশোধিত ও অপরিশোধিত অবস্থায় ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া থেকে আসে।
সম্প্রতি ভোজ্যতেলের দাম কয়েক দফা বেড়েছে। সর্বশেষ গত ৭ ফেব্রুয়ারি সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৭ টাকা বাড়িয়ে বোতলজাত সয়াবিনের এক লিটার বোতলের ১৬৮ টাকা, ৫ লিটারের বোতলের দাম ৭৯৫ টাকা এবং খোলা সয়াবিন প্রতি লিটার ১৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
আর পাম তেলের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়ে ১৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়। বর্তমানে বাজারে বোতলজাত সয়াবিন তেল বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নির্ধারিত দরে বিক্রি হলেও খোলা সয়াবিন ও পাম তেল বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে। এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা, ৫ লিটারের বোতল বিক্রি হচ্ছে ৭৯০ থেকে ৮৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর খোলা সয়াবিন পাওয়া যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন : ভোজ্যতেলসহ নিত্যপণ্যের ভ্যাট-ট্যাক্সের ছাড়ে প্রজ্ঞাপন
পাম তেল প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা দরে। তবে সব ধরনের তেলের সরবরাহ কম। ব্যবসায়ীরা গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১২ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে। যদিও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বাড়তি দামের প্রস্তাবে সায় দেয়নি।