এখন থেকে নির্দিষ্ট ফি’র বিনিময়ে www.land.gov.bd অথবা www.rsk.land.gov এবং www.minland.gov ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ঘরে বসে বা পৃথিবীর যে কোনো প্রান্ত থেকে খতিয়ানের কপি পাওয়া যাবে।
ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মাধ্যমে সর্বশেষ প্রকাশিত স্বত্বলিপি বা আরএস খতিয়ান নামজারি ও জমাভাগ/জমা একত্রীকরণের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। আগের বিভিন্ন জরিপের ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধনে সরকার দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরেজমিনে ভূমি মাপ-ঝোক করে যে নতুন খতিয়ান প্রস্তুত করেছে, তাই আরএস খতিয়ান।
গত বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে ‘হাতের মুঠোয় খতিয়ান’ স্লোগানে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী আরএস খতিয়ান অনলাইনে অবমুক্তকরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
মন্ত্রী জানান, এ পদ্ধতির মাধ্যমে অনলাইনে নামজারির আবেদন, নির্ধারিত সময়ে মামলা নিষ্পত্তি তদারকি, অনলাইন পেমেন্ট (ইউক্যাশ, বিকাশ বা ই-চালানের সাথে সমন্বিত) করার সুযোগ থাকছে।
এছাড়া ভূমি মন্ত্রণালয় বা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে মনিটরিংয়ের সুবিধা, ‘RS-K’ সিস্টেম (বর্তমানে এক কোটি ৪৫ লাখ আরএস খতিয়ান/পর্চা) এর মাধ্যমে রেকর্ড যাচাই করার সুযোগ, উত্তরাধিকার ক্যালকুলেটরের সঙ্গে সমন্বিত থাকায় নির্ভুলভাবে সম্পত্তি বন্টন হিসাব মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে খতিয়ার বা পর্চার তথ্য দেখা ও অনলাইনে আবেদন করার সুযোগও থাকছে।
ভূমিমন্ত্রী আরও বলেন, “ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর ইতোমধ্যে ৩ কোটি ৫০ লাখ খতিয়ানের মধ্যে ৩২ হাজার মৌজার প্রায় এক কোটি ৪৬ লাখ খতিয়ান ওয়েবসাইটে আপলোড করেছে, যা অনলাইনে পাওয়ার সুযোগ হয়েছে।”
জরিপ শেষ হয়েছে এমন খতিয়ানগুলো পর্যায়ক্রমে আপলোড করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, জরিপ শেষ হওয়ার পর চূড়ান্তভাবে গেজেট প্রকাশিত খতিয়ানও আপলোড করা হবে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, অনলাইনে জমির খতিয়ান সংগ্রহের জন্য সকল নাগরিকের জন্য নাগরিক কর্ণার রয়েছে। অনুসন্ধানের জন্য নির্ধারিত বিভাগ, জেলা, উপজেলা ও মৌজা বাছাই করতে হবে। খতিয়ান নাম্বার বা দাগ নম্বর বা মালিকানা নাম বা পিতা বা স্বামীর নাম দিয়ে খতিয়ান খোঁজা যাবে।
অনলাইনে খতিয়ানের কপি পেতে অনলাইনে আবেদনের সময় নাগরিকের নাম, পরিচয় পরিচয়পত্র নম্বর (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ও ফোন নম্বর ইত্যাদি তথ্য দিতে হবে। নির্ধারিত তথ্য দেওয়ার পর মোবাইল ব্যাংকিং বা অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে খতিয়ানের জন্য নির্ধারিত ফি দিতে হবে। ফি পরিশোধের পর অনলাইন কপি সংগ্রহ করতে চাইলে সরাসরি অনলাইন কপি প্রিন্ট করে নেওয়া যাবে।
সার্টিফাইড কপি পাওয়ার ক্ষেত্রে আবেদনের সময় নাগরিকের নাম, পরিচয় পত্র নাম্বার, ফোন নম্বর ইত্যাদি দিতে হবে। তথ্য প্রদানের পর মোবাইল ব্যাংকিং বা অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে খতিয়ানের জন্য ফি দিতে হবে।
ফি দেওয়ার পর সার্টিফাইড কপির জন্য নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র, ই-মেইল, মোবাইল নম্বর, ট্রানজেকশন আইডি ও ডাকযোগে যোগাযোগের ঠিকানা দিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। এরপর সংশ্লিষ্ট জেলা অফিস থেকে বা আবেদনকারীর প্রত্যাশিত ঠিকানায় ডাকযোগে নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে আরএস খতিয়ানের সার্টিফাইড কপি সরবরাহ করা হবে।