মালয়েশিয়ায় কর্মী যাওয়ার খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ অংশে কর্মীদের খরচ ধরা হয়েছে ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা। বুধবার (৬ জুলাই) প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মালয়েশিয়ায় গত ২ জুন ঢাকায় যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে শ্রমবাজার খোলার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। এরপর ১২ জুন থেকে মালয়েশিয়া যেতে ইচ্ছুক কর্মীদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি)। জেলা কর্মসংস্থান অনলাইনে ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপের মাধ্যমে এই নিবন্ধন শুরু করা হয়।
এ বিষয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিএমইটি জানায়, মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু কর্মীদের বিএমইটির ডাটাবেজ নিবন্ধন বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও অভিবাসী আইন অনুযায়ী নিবন্ধিত কর্মীর তালিকা থেকে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের জন্য স্বংক্রিয়ভাবে দৈবচয়নের ভিত্তিতে কর্মী নির্বাচন করার বিধান রয়েছে।
সেই নিয়ম অনুযায়ী, মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু কর্মীদের বিএমইটি ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার অনুরোধ জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। নিয়ম অনুযায়ী বিএমইটির আওতাধীন সব জেলা কর্মসংস্থান অফিস ও জনশক্তি অফিস বা নির্ধারিত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে সরাসরি উপস্থিত হয়ে নিবন্ধন করা যাবে।
সফল নিবন্ধনের জন্য সরকারি ফি ২০০ টাকা অফেরতযোগ্য পরিশোধ করতে হয়। এছাড়া ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপের মাধ্যমেও ১০০ টাকায় নিবন্ধিত হতে পারবেন। ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সীরা নিবন্ধনের উপযোগী বলে বিবেচিত হবে। নিবন্ধনের কার্যকারিতা থাকবে দুই বছর পর্যন্ত। যারা আগে থেকে নিবন্ধন করেছেন তাদের নতুন করে নিবন্ধন করতে হবে না।
দুর্নীতি আর অনিয়মের অভিযোগ এনে মালয়েশিয়া ২০১৮ সালে বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া। সাড়ে তিন বছর কর্মী নিয়োগ বন্ধের পর গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর শ্রমবাজারটি পুনরায় চালু করতে দুই দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়।
এরপর গত ২ জুন দুই দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের (জিটুজি) বৈঠকে কর্মী পাঠানোর বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার পর শ্রমিক পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়।