গত একদিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পৌনে দুই লাখ মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নতুন করে প্রায় দুই হাজার মার্কিনির মৃত্যু হয়েছে। এতে করে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ৫৬ হাজার ছাড়িয়েছে। বরাবরের মতো পিছিয়ে সুস্থতার হার।
জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটার নিয়মিত পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১ লাখ ৭৩ হাজার ৬৩২ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এতে করে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ১ কোটি ১৮ লাখ ৭৩ হাজার ৭২৭ জনে দাঁড়িয়েছে। নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন ১ হাজার ৯৫৬ জন। এ নিয়ে প্রাণহানি বেড়ে ২ লাখ ৫৬ হাজার ২৫৪ জনে ঠেকেছে।
অপরদিকে, সংক্রমণের তুলনায় কম হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৭৯ হাজার ভুক্তভোগী। এতে সুস্থতার সংখ্যা ৭১ লাখ ৬৬ হাজার ৯৯৬ জনে পৌঁছেছে।
চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি শিকাগোর এক বাসিন্দার মধ্যে প্রথম করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এর পর থেকে ক্রমান্বয়ে ভয়ানক হতে থাকে পরিস্থিতি।
সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হার দীর্ঘ হচ্ছে টেক্সাসে। এ শহরে আক্রান্তের সংখ্যা ১১ লাখ ৩০ হাজারের বেশি। যেখানে প্রাণহানি ঘটেছে ২০ হাজার ৫৪০ জনের। ক্যালিফোর্নিয়ায় সংক্রমিতের সংখ্যা ১০ লাখ ৬৭ হাজারে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৮ হাজার ৪৬৯ জনের। ফ্লোরিডায় করোনার শিকার ৯ লাখ ৫ হাজারের বেশি। ইতোমধ্যে সেখানে ১৭ হাজার ৭৩৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
প্রাণহানিতে শীর্ষ শহর নিউইয়র্কে আক্রান্ত ৬ লাখ ১২ হাজারের কাছাকাছি। এর মধ্যে না ফেরার দেশে ৩৪ হাজার ১০৫ জন ভুক্তভোগী। ইলিনয়েসে এখন পর্যন্ত করোনার ভুক্তভোগী ৬ লাখ ৭ হাজার ছুঁই ছুঁই। এর মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ১১ হাজার ৪৬৮ জন। জর্জিজায় করোনা রোগীর সংখ্যা ৪ লাখ ৩৪ হাজারের কাছাকাছি। এর মধ্যে প্রাণ ঝরেছে ৯ হাজার ৬৫ জনের।
নিউ জার্সিতে করোনার শিকার ২ লাখ ৯৬ হাজার ছুঁই ছুঁই। এর মধ্যে প্রাণহানি ঘটেছে ১৬ হাজার ৭৮২ জনের।
এ ছাড়া উত্তর ক্যারোলিনা, টেনেসিস, উইসকনসিন, অ্যারিজোন, ওহিও, পেনসিলভেনিয়া, মিশিগান, মেসৌরি, ইন্ডিয়ানা ও আলবামার মতো শহরগুলোয় আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়েছে।