এই ভ্যাপসা গরমের সময় একটু অনিয়মে হয়ে যেতে পারে শরীরের ব্যাপক ক্ষতি। কিছু মসলা রয়েছে যা খেলে হতে পারে ব্রেন স্ট্রোকের মতো ঘটনা। প্রচণ্ড গরমে খাবারের বিষয়ে নিতে হবে বাড়তি সতর্কতা। তেল মসলা তো ছোঁয়াই যাবে না। গরমে তেল-মসলা খেতেও নিষেধ করেছেন চিকিৎসকেরা। কিছু মসলা রয়েছে যা খেলে হতে পারে ব্রেন স্ট্রোকও। তাই খাবারে বেশি মসলা না খাওয়াই ভালো।
জেনে নিই কোন কোন মসলার ব্যবহার কম করবেন রান্নায় –
লাল মরিচের গুঁড়া : মরিচের গুঁড়া ব্যবহার খুবই পরিচিত। মাংস হোক বা অন্য যে কোনো রান্না, টকটকে লাল না হলে খেয়ে যেনো মজাই নেই। মন যেন ভরে না। কিন্তু জানেন কি, পেট গরম করে এই গুঁড়া মসলা। শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই যতটা পারবেন এই মসলা এড়িয়ে চলুন। রান্নায় ব্যবহার করলেও একেবারেই সামান্য।
রসুন : রসুন খাবারের স্বাদ বাড়ালেও গরমে তা শরীরের জন্য বিষ। গরমকালে এমনিতেই শরীর থাকে গরম। তার ওপর রসুন শরীরকে আরও গরম করে তোলে। শরীরের তাপ হঠাৎ করে বাড়লে হতে পারে হিট স্ট্রোক। তাই হিট স্ট্রোকের আশঙ্কা কমাতে রান্নায় রসুনের ব্যবহার কম করুন।
গোল মরিচের গুঁড়ো : যেকোনো খাবারে গোল মরিচের গুঁড়া দিলে, তার স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে যায়। স্বাদ বাড়ালেও গ্রীষ্মে এ মসলা এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। গোলমরিচ শরীর গরম করে। আর এই ভ্যাপসা গরমে শরীর ঠান্ডা রাখা দরকার। তা না হলে যেকোনো সমস্যা হতে পারে।
বিশেষ করে যারা বাইরে কাজে যান, তাদের কম মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। এই গরমে যতটা পারবেন লাইট খাবার খান। লক্ষ্য রাখবেন এই সব মসলা যাতে রান্নায় কম দেওয়া হয়। এই মসলাগুলো শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। রান্নায় বেশি পরিমাণে এগুলোর ব্যবহার হিট স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের মতো রোগের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
হিট স্ট্রোক ঝুঁকি থেকে বাঁচতে এই সতর্কতাগুলো অবশ্যই মেনে চলুন।