লবণ ছাড়া রান্নার কথা কল্পনাও করা যায় না। এটি যে শুধু খাবারকে স্বাদযুক্ত করে তা নয়, বরং শরীরেরও যত্ন নেয়। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, সারা দিনে ৫ গ্রামের বেশি লবণ খাওয়া অনুচিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এই বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে।
ডব্লিউএইচও বলছে, একজন সুস্থ স্বাস্থ্যবান মানুষের প্রতিদিন ৫ গ্রামের বেশি লবণ না খাওয়াই ভালো। এর বেশি লবণ খাওয়া মানে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগকে বাড়িতে ডেকে আনা।
‘হু’ জানাচ্ছে, শরীরকে সুস্থ রাখতে সোডিয়াম-পটাশিয়াম দুই উপাদানই খুব জরুরি। একজন যদি প্রতিদিন ৫ গ্রাম করে লবণ খান, তবে তার শরীরে এই দুই উপাদানই সুষম পরিমাণে থাকবে। অন্যথায় বেশি লবণ খেলে শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে যায়। আর এর জেরে হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যাও দেখা দেয়। আর যদি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বাড়তে থাকে তবে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
‘হু’র পর্যবেক্ষণ হলো, প্রতি বছর ৩০ লাখ মানুষ বেশি লবণ খেয়ে সেই জনিত সমস্যায় ভুগে মারা যান। কারণ, সংস্থাটি দেখেছে যারা এই ধরনের সমস্যায় ভুগতে থাকেন তারা নিয়মিত ৫ গ্রামের চেয়ে অনেকটা বেশি, অনেক ক্ষেত্রে ৯-১২ গ্রাম পর্যন্ত লবণ খান। অর্থাৎ, প্রয়োজনের প্রায় দ্বিগুণ। যদি লবণ খাওয়ার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয় তবে এর মধ্যে অন্তত ২৫ লাখ প্রাণ বেঁচে যায়।
আরও পড়ুন : লবণ কম খেলে স্বাস্থ্যের যেসব ক্ষতি হতে পারে
অতিরিক্ত লবণ খাওয়া কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন?
খাবার টেবিলে লবণের কৌটো রাখবেন না। আর খিদে পেলে স্ন্যাক্স বা চিপস জাতীয় খাবার কম খান কিংবা লো সোডিয়াম ফুড আইটেম কেনা অভ্যাস করুন।
মেডিক্যাল এক্সপার্টেরা বলেন, লবণের দুটি প্রধান উপাদান-সোডিয়াম ও পটাশিয়াম। তবে লবণে সোডিয়ামের পরিমাণই বেশি, তুলনায় পটাশিয়ামের পরিমাণ অনেকটাই কম। এই পরিস্থিতিতে যারা বেশি লবণ খান তারা কিন্তু শরীরে সোডিয়ামই বেশি গ্রহণ করে ফেলেন। আর তাতে বিপুল ক্ষতি ঘটে যায় শরীরের।