হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশের তত্ত্বাবধানে চেহারা শনাক্তকরণ ৮ সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। ইমিগ্রেশনের বহির্গমন ও আগমনী অংশে এসব ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এর মাধ্যমে অপারাধীদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে চিহ্নিত করা যাবে।
এতদিন ছবি, নাম, পাসপোর্ট নম্বর দেখে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে তাদের বিমানবন্দর দিয়ে যাতায়াত ঠেকানোর চেষ্টা হতো। কিন্তু তাতে তাদের আসা-যাওয়া ঠেকানো শতভাগ সম্ভব হতো না। এখন সেটা ক্যামেরার মাধ্যমেই করা হবে। এ জন্য ব্যবহার করা হবে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিশেষ ক্যামেরা।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন- অনেক সময় অপরাধীরা ছদ্মবেশ ধারণ করে। এ কারণে তাদের শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ে। তবে চেহারা শনাক্তকরণ ক্যামেরায় ছদ্মবেশ ধারণ করলেও শনাক্ত করা সম্ভব।
ইমিগ্রেশন পুলিশ জানিয়েছে- প্রায়ই আদালত রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ব্যক্তির বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকেন। এছাড়া, সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীগুলোর তালিকাভুক্ত অপরাধী, জঙ্গীদের বিদেশ যাত্রা ঠেকাতে ছবি, নাম, ঠিকানা ও পাসপোর্ট নম্বর দেখে শনাক্ত করা হয়। তবে এ তালিকা দীর্ঘ হলে সবসময় চিহ্নিত করা সম্ভব হয় না। কখনও কখনও অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ থাকলে অপরাধীদের শনাক্তে বিপাকে পড়তে হয়। অন্যদিকে, বিদেশ ফেরত চিহ্নিত জঙ্গী, আসামিদের ক্ষেত্রেও একই রকম বিপত্তিতে পড়তে হয়।
সূত্র জানায়, পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্দেহভাজন ব্যক্তি, আসামি, জঙ্গীদের দেশে প্রবেশ ও বিদেশযাত্রা ঠেকাতে চেহারা শনাক্তকরণ সিসি ক্যামেরা ইতোমধ্যে বসানো হয়েছে বিমানবন্দরে। একটি সফটওয়ারের সঙ্গে যুক্ত হবে সিসি ক্যামেরাগুলো। এই সফটওয়ারে প্রায় ৫ হাজার ব্যক্তির ছবি সংরক্ষণ করা সম্ভব। সংরক্ষিত ছবির কোন ব্যক্তি এসব ক্যামেরার আওতায় এলেই মনিটরে সংকেত দেবে। এতে সহজেই শনাক্ত করা সম্ভব হবে তালিকাভুক্ত সন্দেহভাজন ব্যক্তি, আসামি বা জঙ্গীদের।
সিসি ক্যামেরাগুলো পর্যবেক্ষণ করবে ইমিগ্রেশন পুলিশ ও বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ। ক্যামেরা বসানো হলেও এগুলোর কার্যক্রম এখনও শুরু হয়নি। তবে, শীঘ্র শুরু হবে।