শীতকালে প্রতিটি মানুষের গড়ে প্রায় দেড় কেজি পর্যন্ত ওজন বাড়ে। ফলে শুরুতেই এ নিয়ে সাবধান হতে হবে । শীতকালে রোগা থাকা, মেদ ঝরানো, ওজন কমানো যেন একটা বোঝা হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ ইচ্ছাও করে না। জেনে নিন কেন শীতকালে ওজন বাড়তে পারে।
শারীরিক কসরত: শীতকালে লেপ বা কম্বলের তলায় বই পড়ে অনেকেই সময় কাটাতে ভালোবাসি। অনেকে ঠান্ডার কারণে হাটা, জগিং ছেড়ে দেন। এতে খাবার খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে যে ক্যালোরি যোগ হয় তা ক্ষয় হয় না। ফলে তা ফ্যাট আকারে শরীরে জমা হতে থাকে। সবচেয়ে ভালো হয় আপনি একজন ওয়ার্কআউট পার্টনার খুঁজে বের করুন। এতে হাটা বা জগিং এর প্রতি আগ্রহ বাড়বে। কমবে ওজন।
দিন ছোট-রাত বড়: গরম কালে দিন বড় হয়। বেশিক্ষণ সূর্যের আলো থাকায় আমরা বেশি সময় সক্রিয় থাকি। শীতকালে দিন ছোট হয়। ফলে তাড়াতাড়ি কাজকর্ম শেষ করে লেপের তলায় ঢুকে পড়ি। ফলে শীতে পরিশ্রম কম হয়।
শীতের খাবার– গরম কালে আমরা টাটকা সব্জি, তাজা ফল অনেক বেশি খাই। শীতকালে আমাদের গরম খাবার খেতে বেশি ইচ্ছা করে। হট চকোলেট, হট পিৎজা, বার বার চা-কফি আমাদের ভালো লাগে। সঙ্গে তেল-মশলাদার খাবারের প্রতিও ঝোঁক বাড়ে। ফলে শীতকালে ওজন কমানো কিছুটা কঠিন হয়ে ওঠে।
ডিহাইড্রেশন: শীতকালে হাইড্রেট থাকাই অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। এই সময় শরীর সুস্থ রাখতে দিনে ২ থেকে ৩ লিটার জল পান করুন। কারণ জলের অভাবে ডিহাইড্রেশন দেখা দেয় আর ডিহাইড্রেশনের ফলে শরীর দুর্বল লাগে ও খিদে বাড়ে। যার প্রভাব পড়ে ওজনে।
মন মেজাজের উপর প্রভাব: সূর্যের আলোর অভাবে বেশিরভাগ মানুষ সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডারে ভোগেন। এর ফলে মানুষ অনেক বেশি সময় মুড ভালো রাখতে খাবার খান। গরম কালে আমাদের মুড ভালো থাকে। যা মস্তিষ্কে হ্যাপি সিরোটোনিন বা হ্যাপি হরমোন ক্ষরণে সাহায্য করে। যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। শীতে আবহাওয়ার কারণে মুড অফ থাকায় সিরোটোনিনের ক্ষরণ কমে। আমরাও মুড ভালো করতে বেশি খাই। ফলে ওজন বাড়ে।
রোদের অভাব: গরম কালে রোদের কারণে আমাদের শরীর বেশি ভিটামিন ডি পায়। যা শরীরে কর্টিসলের মাত্রা বাড়ায়। কর্টিসল হরমোন আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও এনার্জির মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। গরমে শরীর গরম থাকায় আমাদের মেটাবলিক রেট বেশি থাকে। ফলে ক্যালোরি ঝরানো অনেক সহজ হয়। আর শীতকালে হয় ঠিক তার উল্টো।