শীতকালীন ফল কমলা । কেবল স্বাদই নয়, কমলার বিশেষ কিছু গুণাগুন শরীরকে সুস্থ্য ও প্রফুল্ল রাখতে সাহায্য করে। এ জন্য প্রতিদিন ডায়েটে কমলা রাখতে বলেন বিশেষজ্ঞরা।
পুষ্টিবিদদের মতে, কমলা শীতে স্ট্রোক রুখতে সাহায্য করে, ওবেসিটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে ও শরীরে ফাইবারের চাহিদা মেটাতে খুবই কাজে আসে। কমলার গুণাগুণ নিয়ে দেশ-বিদেশের বহু সংস্থাই গবেষণা করছে। আমেরিকান জার্নাল অব এপিডেমিওলজি যেমন দাবি করেছে শিশুকে ৬ মাসের পর থেকে ২ বছর অবধি শীতকালে কমলার রস খাওয়ালে তার লিউকোমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে।
একটি মাঝারি আকারের কমলাতে ৩ গ্রাম ফাইবার থাকে। ফলে ইনসুলিনের পরিমাণ বেড়ে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে কমলা।
কমলাতে রয়েছে ফাইবার, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি এবং কোলিন। এগুলো হার্টের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে বিশেষ উপকারে আসে। হৃদযন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে, হৃদস্পন্দনের গতি ঠিক রাখতে এই উপাদানগুলোর ভূমিকা অনেক।
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের গবেষণা অনুসারে নিয়মিত কমলা বা আঙ্গুর জাতীয় ফল খেলে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়। মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলের পথকে মসৃণ ও অনুকূল করতে কমলা ও আঙুর জাতীয় ফলের পটাশিয়াম ও কোলিন কাজে আসে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও লেবুর পটাশিয়াম সোডিয়াম সাহায্য করে। তাই উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের ডায়েটে রাখা হয় কমলা।
ত্বক ও চুলের যত্নের জন্য প্রয়োজন ভিটামিন সি। চুলের বৃদ্ধি, ত্বকের উজ্জ্বলতা এ সব ধরে রাখতে ভিটামিন সি বিশেষ ভূমিকা পালন করে। কমলাতে ভিটামিন সি-এর প্রাচুর্য রয়েছে। তাই ত্বক ও চুলের যত্নে বিশেষ উপকারী এই ফল।