করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও সড়ক ও রেল পথের পাশাপাশি ব্যস্ত হয়ে উঠছে দেশের আকাশপথ। অভ্যন্তরীন সব রুট ছাড়াও এরইমধ্যে প্রায় ১৮ টি আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু হয়েছে। এমন অবস্থায় আকাশ পথের বেশিরভাগ যাত্রী-ই ফ্লাইট-সংখ্যা বাড়ানোর পক্ষে মত দিচ্ছেন। তবে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি ও কোয়ারেন্টাইন সুবিধার উপর নির্ভর করেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন তারা।
করোনা-দুর্যোগের বাস্তবতা মেনেই জীবন ও জীবিকার তাগিদে স্বাভাবিক হচ্ছে দৈনন্দিন কর্মকান্ড। ক্রমান্বয়ে আগের চিত্রে ফিরছে দেশের বিমানবন্দরগুলো। মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীন টার্মিনালের এ চিত্র স্বাভাবিকতাকেই স্পষ্ট করে। এরইমধ্যে অভ্যন্তরীন সব কয়টি রুটে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করেছে দেশীয় এয়ারলাইন্স কোম্পানীগুলো।
একই চিত্র আন্তর্জাতিক টার্মিনালেও। নিরবতা ভেঙে জীবনের প্রয়োজনে পৃথিবীর নানা গন্তব্যে ছুটছেন যাত্রীরা। এরইমধ্যে বাংলাদেশ বিমানসহ অন্তত ১৫ টি এয়ালাইন্স কোম্পানীকে প্রায় ১৮ টি আন্তর্জাতিক গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দিয়েছে সিভিল এ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে শুধু বাংলাদেশ বিমান-ই সপ্তাহে অন্তত ১২ টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এছাড়া এমিরেটস-৭টি, কাতার-৫টি, টার্কিশ এয়ার-৪টি, এয়ার এরাবিয়া-৩টি, মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্স-৩টি এবং অন্য আরো ৫-৬ টি এয়ারলাইন্স কোম্পানি সপ্তাহে দুইটি করে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পেয়েছে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফ্লাইট সংখ্যা বাড়ানোর পক্ষে মত দিচ্ছেন বেশিরভাগ যাত্রীরা। আগামি সপ্তাহ থেকে নতুন করে আরো দুইটি এয়ারলাইন্স কোম্পানী- গালফ এয়ার এবং ওমান এয়ার-কে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পাচ্ছে। সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান জানান, স্বাস্থ্যবিধি ও কোয়ারেন্টাইন সক্ষমতা বিবেচনা করে ক্রমান্বয়ে ফ্লাইট সংখ্যা বাড়ানো হবে। আন্তর্জাতিক রুটে এই মুহূর্তে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেই সবচেয়ে বেশি ফ্লাইটের চাহিদা রয়েছে।