মহামারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ২২৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় দেশে প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়ালো ১৭ হাজার ৮৯৪ জনে। একই সময়ে করোনায় শনাক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৫৭৮ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১১ লাখ ৩ হাজার ৯৮৯ জন।
রবিবার (১৮ জুলাই), করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ সকল তথ্য জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩৯ হাজার ২০৪টি। আর দেশের মোট ৬৩৮টি ল্যাবে অ্যান্টিজেন টেস্টসহ ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৯ হাজার ৮০৬টি। এর মধ্যে ১১,৫৭৮ জনের দেহে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। যেখানে পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৯.০৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭২ লাখ ৫৫ হাজার ৩৭৮টি। এ পর্যন্ত পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫.২২ শতাংশ। আর গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরো ৮ হাজার ৮৪৫ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৪.৪২ শতাংশ। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৯ লাখ ৩২ হাজার ৮ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে সর্বোচ্চ ৬০ জন ও খুলনা বিভাগে ৫৪ জন এই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২২৫ জনের মধ্যে ১২৩ জন পুরুষ ও ১০২ জন নারী। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.৬২ শতাংশ।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত হওয়া গেলেও বাংলাদেশে ভাইরাসটি শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। ওইদিন তিনজন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। করোনায় মৃত্যুর হার শুরুতে বৃদ্ধি পাওয়ার পর অনেকটাই কমে এসেছিলো সে হার। তবে, দেশে করোনায় ২য় ঢেউয়ে আবারো বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণ হার ও মৃতের সংখ্যা। সংক্রমণ ঠেকাতে আবারো দেশে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে বর্তমানে বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। তবে আগামী ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে সরকার।