স্মার্টফোন কেনা গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত। বাজারে এত এত কোম্পানীর স্মাটফোনের মধ্যে থেকে কোনটি ভালো তা নির্বাচন করা বেশ কঠিন এবং অনেক সময় কনফিউশনে পড়তে হয়। শক্তিশালী র্যাম ও উন্নত ক্যামেরা, দীর্ঘস্থায়ী ব্যাটারি, গেমিং কত কিছুই না থাকে এখনকার ফোনে। তাই ভেবেচিন্তেই এই ফোন কিনতে হয়, যাতে স্মার্টফোন আপনার সকল চাহিদা পূরণ করে।
স্মার্টফোন কেনার সময়ে যে বিষয়গুলো অবশ্যই নজর দিবেন:
র্যাম ও প্রসেসর: স্মাটে ফোনের র্যাম ও প্রসেসর খুবই গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। র্যাম যত বেশি হবে,ফোনের অ্যাপগুলিও ততটাই মসৃণভাবে চলবে। গেমিং-এর জন্য এটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। তাই ফোন কেনার সময়ে নজর দিন র্যামের সংখ্যার দিকে। তার সঙ্গে দেখুন সব থেকে ভালো প্রসেসর কোনো ফোনে। আপনার বাজেটে সবচেয়ে বেশি র্যাম পাবেন এমন ফোনই নির্বাচন করুন।
ইন্টারনাল মেমরি বা স্টোরেজ: ফোনের স্টোরেজের বিষয়টিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এখন বেশিরভাগ ফোন ব্যবহারকারীই মেমরি কার্ড ব্যবহার করেন না। তাই ফোন কেনার সময়ে অন্তত ৩২ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজের ফোন কেনার চেষ্টা করুন।
ক্যামেরা: স্মার্টফোনে ক্যামেরার মান দিন দিন উন্নততর হচ্ছে। এখনকার কম দামের ফোনেই বেশ ভালোমানের ক্যামেরা দিচ্ছে একাধিক সংস্থা। তবে শুধু ক্যামেরার মেগাপিক্সেল দেখে ফোন নির্বাচন করবেন না। কারণ বেশি মেগাপিক্সেলের ক্যামেরার গুণগত মানও কম হতে পারে। তাই ফোন কেনার আগে বিভিন্ন ফোরাম ঘেঁটে যাচাই করে নিন ক্যামেরার মান।
ব্যাটারী: ফোনের অন্যান্য স্পেসিফিকেশন যতই ভালো হোক না কেন,ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়ী না হলে সব বৃথা। ব্যাটারি মাপা হয় মিলিঅ্যাম্পিয়ার এককে। ফোন কেনার সময়ে দেখে নিন ফোনের ব্যাটারির মিলি অ্যাম্পিয়ার কত। এখনকার বেশিরভাগ সংস্থা ফাস্ট চার্জিংয়ের সুবিধা দেয়। ফোন কেনার সময় নজর রাখুন সেই দিকে।
ডিসপ্লে: ফোনের ডিসপ্লে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। আপনার দিনের বেশ খানিকটা সময় ফোনের পর্দায় তাকিয়ে কাটবে। তাই গেমিং বা ভিডিও দেখার মতো কাজের জন্য পরিষ্কার ঝকঝকে ডিসপ্লে জরুরি। ফোন কেনার সময়ে নজরে রাখুন পর্দার রেজোলিউশন। তার সঙ্গে ফোনের ক্রিন-টু-বডি রেশিও জেনে নিন।
এছাড়াও বর্তমানে প্রায় সব বাজেট ফোনই অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলে। ফোন কেনার সময়ে দেখে নিন ফোনে সর্বশেষ অ্যান্ড্রয়েডের সংস্করণটি আছে কিনা। না থাকলেও আপডেট করা সম্ভব কি না জেনে নিন।