হজযাত্রী স্থানান্তর করা হবে ১৫ মে’র মধ্যে লিড এজেন্সি নির্ধারণ করে। হজযাত্রী আগামী ১৫ মে’র মধ্যে লিড এজেন্সি নির্ধারণ করে ২০২০ সালের নিবন্ধিত হজযাত্রীদের এক এজেন্সি থেকে অন্য এজেন্সিতে স্থানান্তর করতে হবে।
সোমবার (৯ মে) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০২২ সালে হজ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বৈধ হজ এজেন্সির তালিকায় প্রকাশিত যে সব হজ এজেন্সির প্রাক-নিবন্ধিত ব্যক্তির সংখ্যা ৯৭ বা এর বেশি সেসব এজেন্সিকে ২০২২ সালের হজের নিবন্ধন স্থানান্তর কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য নির্দেশক্রমে অনুমতি দেওয়া হলো। পাশাপাশি নিবন্ধন স্থানান্তর কার্যক্রমের জন্য উপযুক্ত বা তালিকায় প্রকাশিত বৈধ যেসব হজ এজেন্সির নিবন্ধিত ব্যক্তির সংখ্যা ৯৭ জনের কম সেসব হজ এজেন্সি পরস্পর সমঝোতা করে সমন্বয়পূর্বক ‘হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২১’ এবং এর অধীনে প্রণীত ‘হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২২ (খসড়া)’ এর ২৫ বিধি অনুযায়ী লিড এজেন্সি নির্ণয় করে সমন্বয়কারী এজেন্সিগুলোর নিবন্ধিত ব্যক্তিদের লিড এজেন্সিতে স্থানান্তর করে নির্ধারিত কোটা পূরণ ও নির্ধারিত কোটার সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম সম্পন্ন করবে।
আগামী ১৫ মে’র মধ্যে লিড এজেন্সি নির্ধারণ করে ২০২০ সালের নিবন্ধিত হজযাত্রীদের এক এজেন্সি থেকে অন্য এজেন্সিতে স্থানান্তর সম্পন্ন করতে হবে। সমন্বয়কার্য শেষে সৌদি আরবের ই-হজ সিস্টেমে ইউজার তৈরির জন্য সৌদি আরবে হজ এজেন্সির তালিকা এবং হজ এজেন্সিভিত্তিক হজযাত্রীর সংখ্যা (গাইড ও মোনাজ্জেমসহ) পাঠানো হবে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে কোনো সময় বাড়ানো হবে না বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
সৌদি আরবে এজেন্সিভিত্তিক হজযাত্রীর তথ্য পাঠানোর পর সব ধরনের প্রতিস্থাপনের কার্যক্রম শুরু হবে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যে সব হজ এজেন্সি বিভিন্ন অভিযোগে শাস্তিপ্রাপ্ত, লাইসেন্স স্থগিত বা লাইসেন্স সচল না থাকায় ই-হজ সিস্টেমে এজেন্সির ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড বন্ধ সেসব হজ এজেন্সির অধীন বিদ্যমান নিবন্ধিত হজযাত্রীদের ২০২২ সালে হজ কার্যক্রমে সচল আছে এবং সৌদি আরবে হজযাত্রী পাঠানোর উপযুক্ত এমন হজ এজেন্সির কাছে ১৫ মে’র মধ্যে শুধু হজযাত্রী স্থানান্তর কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবে। তাদের ইজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড আগের মতো বন্ধ থাকবে (কোন নিবন্ধন, হজযাত্রী স্থানান্তরপূর্বক গ্রহণ ইত্যাদি কার্যাদি সম্পন্ন করতে পারবে না)।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৯ জুলাই সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ৫৭ হাজার ৮৫৬ জন হজে যেতে পারবেন বলে এরই মধ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে। করোনাভাইরাস মহামারিতে সৌদি আরবের নিষেধাজ্ঞার কারণে গত দু-বছর বাংলাদেশ থেকে কেউ হজে যেতে পারেননি।