হাঁপানি বা অ্যাজমা একটি শ্বাসপ্রশ্বাস সংক্রান্ত সমস্যা। এতে শ্বাসনালী সরু হয়ে যায় এবং নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধা সৃষ্টি হয়, তখন হাঁপানি সমস্যা দেখা দেয়। হাঁপানির সঙ্গে কখনো কখনো কাশি থাকে এবং আঠালো কফ উঠে আসে। রোগের ধরন অনুযায়ী কম বা বেশি সময় হলেও এ রোগ থেকে রোগীকে মুক্ত রাখা সম্ভব।
হাঁপানির আক্রমণ যখন তীব্র হয়, তখন লক্ষণ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করে জীবন বাঁচাতে হবে। এরপর যখন হাঁপানির দমক চলে যায়, তখন হাঁপানির কারণ অনুযায়ী মূল ওষুধ সেবন করে তা স্থায়ীভাবে নির্মূল করা উচিত। হাঁপানি রোগ সমূলে বিনাশ করা অর্থাৎ স্থায়ীভাবে নিরাময় করা অন্যান্য চিকিৎসা পদ্ধতিতে অসম্ভব হলেও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় তা অসম্ভব নয়। হাঁপানির বা অন্য যা-ই হোক না কেন, ওষুধ সেবন করতে হবে রোগের প্রকৃত লক্ষণ অনুযায়ী। হাঁপানি স্থায়ীভাবে সারানোর সম্ভব একমাত্র হোমিওপ্যাথি ওষুধেই।
হাঁপানির লক্ষণ: বুকের ভেতর বাঁশির মতো সাঁই সাঁই শব্দ হওয়া, শ্বাস নিতে ও ছাড়তে কষ্ট হওয়া, দম খাটো অর্থাৎ ফুসফুস ভরে দম নিতে না পারা, ঘন ঘন কাশি, বুকে আঁটসাঁট অথবা দম বন্ধ ভাব, স্বস্তিতে রাতে ঘুমাতে না পারা ইত্যাদি।
প্রতিকার: ওষুধ বা অন্য যেসব বস্তু বা দ্রব্যের কারণে হাঁপানি বেড়ে যায়, সেগুলো বাদ দিয়ে চলতে হবে। যেমন বেশি পরিশ্রম, আবেগপ্রবণ বা উত্তেজিত হওয়া, নির্দিষ্ট কোনো একটি ওষুধ (যেমন বাতের ওষুধ), গরুর মাংস, ইলিশ মাছ, চিংড়ি মাছ, কচুশাক, মিষ্টিকুমড়া, বেগুন, ডাল ইত্যাদি।
এছাড়াও নিয়মমতো ডায়েট মেনে চললেও হাঁপানির মাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখা যায়।
অ্যাভোক্যাডো: ফুসফুসকে হাঁপানির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য অ্যাভোক্যাডো খুবই উপকারী একটা ফল।
কলা: সমীক্ষকেরা বলে থাকেন যে, কলা আমাদের স্বাস্থ্যের পক্ষে সবসময়ই খুবই উপকারী। কলাতে হাই ফাইবার থাকে। যা হাঁপানির হাত থেকে আমাদের ফুসফুসকে বাঁচায়। তাই চিকিত্সকেরা বলে থাকেন যে রোজ একটা করে কলা খেলে হাঁপানি হওয়া ৩৪ শতাংশ কমে যায়।
পালং শাক: সবুজ শাক-সব্জি শরীরের পক্ষে সবসময়ই উপকারী। বিশেষ করে পালং শাক, পালং শাকে ভিটামিন-সি, ভিটামিন-ই, ম্যাগনেশিয়াম, বেটা ক্যারোটিন থাকে। এগুলো সবই হাঁপানি প্রতিরোধকারী উপাদান।
হলুদ: জীবানু ধ্বংসের জন্য হলুদ খুবই উপকারী একটি উপাদান। তাই হাঁপানি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য খাবারে হলুদের ব্যবহার প্রয়োজনীয়।
আপেল: আপেল গুণাগুণ অনেক। তবে বেশিরভাগ মানুষই জানেন না, হাঁপানি থেকে ফুসফুসকে রক্ষা করার জন্য আপেলের মতো উপকারী ফল খুব কমই আছে।