মাছ হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। কারন মাছে প্রোটিন, আয়োডিন, ভিটামিন ডিসহ প্রচুর পুষ্টিগুণ রয়েছে, এছাড়াও মাছে সবচেয়ে বেশি রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড। এই এসিড শরীর ও মস্তিষ্কের জন্য খুবই গুরুত্বপুর্ন।
তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় মাছ থাকা জরুরী। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত মাছ খেয়ে থাকেন তাদের হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কম। আমেরিকার একটি জার্নালে বলা হয়েছে, প্রতিদিন মাছ খেলে কোলন, গলার, প্যানক্রিয়াটিক ও মুখের ক্যান্সার রোধ হয়।
চলুন জেনে নেই, মাছে আরো কি কি উপকারী গুন রয়েছে-
– দৈহিক বৃদ্ধিতেও পুষ্টি জোগায় মাছ।
– বিশেষ করে শিশুর বেড়ে ওঠার জন্য ফ্যাটি এসিড খুব জরুরী, যা মাছে পাওয়া যায়।
– গর্ভবতীদের তাই ফ্যাটি এসিডের জোগান পেতে মাছ খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।
– স্মৃতিশক্তি বাড়ায় মাছ। বয়স বাড়ার সাথে সাথে আলঝেইমার অর্থাৎ স্মৃতি লোপ পাওয়ার মতো রোগ ঠেকাতে মাছের ভূমিকা রয়েছে।
– মস্তিষ্কের গ্রে ম্যাটার বৃদ্ধি অর্থাৎ মস্তিষ্ককে কর্মক্ষম রাখার কোষ বৃদ্ধি করে মাছ। প্রতি সপ্তাহে যারা মাছ খান, তাদের মস্তিষ্কে গ্রে ম্যাটার বেশি থাকে।
– যারা নিয়মিত মাছ খান, তাদের মাঝে হতাশার প্রবণতা কম থাকে।
– দেহের জন্য খুব জরুরি ভিটামিন ডির সবচেয়ে ভালো উৎস হিসেবে মাছকে বিবেচনা করা হয়।
– যারা নিয়মিত মাছ খান তারা টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস থেকে মুক্ত থাকেন।
– রোগ প্রতিরোধ কমে যাওয়া এবং আর্থাইটিস থেকেও মুক্ত থাকা যায়।
গবেষণায় আরো দেখা গেছে যেসব শিশু নিয়মিত মাছ খায়, তাদের অ্যাজমা বা হাঁপানি হওয়ার ঝুঁকি ২৪ শতাংশ কম। অবশ্য বড়দের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি তেমন জোরালো না।