পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ বাড়াতে দেশের ২০টি বাণিজ্যিক ব্যাংককে পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে ব্যাংকগুলোকে মৌখিকভাবে এ পরামর্শ দেয়া হয়।
সূত্রে জানা গেছে, পুঁজিবাজারের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত রোববারের বড় দর পতনের পরই বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে কিছু করার উদ্যোগ নেয়। সোমবার দ্বিতীয় দিনের মত বড় দরপতন হলে বাংলাদেশ ব্যাংক সক্রিয় হয়ে উঠে। এর প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার পুঁজিবাজারে সর্বোচ্চ সীমার অনেক কম বিনিয়োগ রয়েছে এমন ২০ ব্যাংককে বিনিয়োগ বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।
বর্তমান আইন অনুসারে একটি ব্যাংক তার রেগুলেটরি মূলধনের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারে। তবে সর্বনিম্ন বিনিয়োগের কোনো সীমা নেই অথবা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করার কোনো বাধ্যবাধকতাও নেই।
জানা গেছে, বাজারে আলোচিত ২০ ব্যাংকের বিনিয়োগের পরিমাণ ১৫ শতাংশেরও কম। তাই এসব ব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে।
তবে বাংকগুলো কতটুকু বিনিয়োগ বাড়াবে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। কারণ আইনে সুযোগ থাকলেও ব্যাংকগুলো অন্যান্য খাতে বিনিয়োগের বিপরীতে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করলে কতটা লাভজনক হবে বা ঝুঁকির মাত্রা কতটুকু সেসব বিষয় বিবেচনা করেই পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক দুটি কারণে পুঁজিবাজারকে গতিশীল দেখতে চান। প্রথমতঃ পুঁজিবাজারে বেশি মন্দাবস্থা থাকলে তা অর্থনীতির অন্যান্য ক্ষেত্রেও কিছু অস্থিরতা ছড়াবে। দ্বিতীয়তঃ পুঁজিবাজারের অবস্থা বেশি খারাপ হয়ে গেলে ব্যাংক এবং নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের স্বাস্থ্যও খারাপ হয়।