স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদ সোনালী ব্যাংক প্রাতিষ্ঠানিক কমিটির উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে হোটেল পূর্বাণী ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড-এ মঙ্গলবার এক আলোচনা সভা, সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান কামাল, এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল মকবুল, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. শেখ মহঃ রেজাউল ইসলাম, ব্যাংকের পরিচালকবৃন্দ এবং সিইও এন্ড এমডি মোঃ ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদ সোনালী ব্যাংক কমিটির সভাপতি সঞ্জিত কুমার বনিক এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন তুষার।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. শেখ মহঃ রেজাউল ইসলাম তার বক্তব্যে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে সাবেক ছাত্রনেতাদের বিবেকের তাড়নায় সংগঠিত হওয়ার প্রয়াসকে স্বাগত জানান। দেশ গঠনে অক্লান্ত পরিশ্রমী তরুণ সমাজকে তিনি স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকার পরামর্শ দেন, বিশেষ করে মুখোশধারী এ সকল সুবিধা ভোগীদেরকে সুবিধাজনক অবস্থানে না রাখার জন্য মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়কে অনুরোধ করেন। তিনি স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদের সিপিএফ টু জিপিএফ, নতুন অর্গানোগ্রাম-এর ন্যায় সময়োপযোগী দাবীর প্রতি সমর্থন করেন এবং কর্তৃপক্ষকে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানান।
সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের মাননীয় চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল মকবুল সোনালী ব্যাংকের অতীতের সোনালী ইতিহাসের শিক্ষা গ্রহণ করে সোনালী ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য তরুন ব্যাংকারদেরকে আহবান জানান। তিনি কর্মকর্তা কর্মচারীদের কল্যাণে স্বাধীনতা ব্যাংকার্সের সকল প্রকার দাবী দাওয়ার প্রতি সুবিচার করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এর পরে স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদ সোনালী ব্যাংক ইউনিটের পক্ষ হতে মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান কামাল, এমপি-কে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান জনাব আশরাফুল মকবুল এবং সিইও এন্ড এমডি জনাব ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ।
মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আসাদুজ্জামান খান কামাল, এমপি তার বক্তব্যে আমাদের জাতীয় জীবনে মার্চ মাসের গুরুত্ব, ইতিহাস এবং বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের নিহিতার্থ বিশ্লেষণ করেন। তিনি নিজের চোখে দেখা ২৫ মার্চ ১৯৭১ সালের ভয়াল রাত্রীর ভয়াবহতার বর্ণনা করেন। যুদ্ধ বিদ্ধস্ত দেশকে পর্যায়ক্রমে উন্নত দেশে পরিণত করার সংগ্রামে বর্তমান সরকার এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের নানান উদাহরণ দিয়ে দেশপ্রেমের উদাহরণ উপস্থিত সকলের সামনে তুলে ধরেন তিনি। সোনালী ব্যাংকের এই সফলতা অর্জনকে তিনি দেশপ্রেমের অনন্য নিদর্শন হিসেবে আখ্যা দেন, একই সাথে সামনে এগিয়ে যাওয়ার এই প্রয়াসকে অব্যাহত রাখতে সকলকে নির্দেশ দেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে উদ্ধোধনী ভাষণে স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটের সহ-সভাপতি মোঃ আক্কাস আলী আকাশ ব্যাংকের কর্মকর্তা কর্মচারীদের কল্যাণে সংগঠনটির ভূমিকা তুলে ধরেন। শুভেচ্ছা বক্তব্যে সংগঠনের সহ-সভাপতি গাজী মিজানুর রহমান সংগঠনটির প্রতিষ্ঠা, সর্বস্তরের গ্রহণযোগ্যতা এবং অর্জনগুলো উপস্থাপন করেন।
বিশেষ অতিথিদের ভাষণের শুরুতে সোনালী ব্যাংকের সিইও এন্ড এমডি ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ সোনালী ব্যাংকের মত বৃহৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে অলাভজনক অবস্থান থেকে লাভজনক অবস্থানে তুলে নিয়ে আসার মন্ত্র হিসেবে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে অনুসরণ করার কথা ব্যক্ত করেন। সোনালী ব্যাংককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এই যুদ্ধে তিনি তরুণ ব্যাংকারদের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
পরিচালকবৃন্দের মধ্যে ড. দৌলতুন নাহার এবং আসাদউল্লাহ মহান স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করেন ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা বিভাগ ও কর্মকর্তাদের বিভিন্ন কর্মকা-ের প্রশংসা করেন। তারা কর্মকর্তাদের ন্যায্য দাবীগুলোর যথাযথ সমর্থন ও বাস্তবায়নের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দেন। আলোচনা সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন স্বাধীনতা ব্যাংকার্স পরিষদ সোনালী ব্যাংক কমিটির সভাপতি সঞ্জিত কুমার বনিক। এরপর উপস্থিত সকলের সাথে নৈশ ভোজে যোগ দেন মাননীয় মন্ত্রী যার পরপরই শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।