রাষ্ট্রায়ত্ত পিএলসি’র বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৪ ঢাকার সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষঅগ্রণী ব্যাংকদের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখ্ত। এসময় অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালক কে এম এন মঞ্জুরুল হক লাবলু, মো. শাহদাত হোসেন এফসিএ ও মোহাম্মদ মাসুদ রানা চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও মো. মুরশেদুল কবীর, অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৪ পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াহিদা বেগমসহ, মহাব্যবস্থাপকবৃন্দ, ঊর্ধ্বতন নির্বাহীগণ, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মূল প্রতিযোগিতায় অগ্রণী ব্যাংকের সকল স্তরের নির্বাহী, কর্মকর্তা, কর্মচারীগণ মার্চপাস্ট, লং জাম্প, দৌড়, হাই জাম্প, রিলে দৌড়, সাইকেল রেস, পিলো পাসিং, হাঁড়ি ভাঙ্গা, লৌহ গোলক নিক্ষেপ, চাকতি নিক্ষেপ, বর্শা নিক্ষেপ, মিউজিক্যাল চেয়ার, বস্তা দৌড়সহ বিভিন্ন ধরনের খেলায় অংশগ্রহণ করেন। বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সদস্য সচিব ও মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. আমিনুল হকের তত্ত্বাবধানে দুই দিনব্যাপী বার্ষিক প্রতিযোগিতা শেষে বিকালে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ড. জায়েদ বখ্ত বলেন, শরীর এবং মনের সুস্থতার জন্য কায়িক শ্রমের বিকল্প নেই। যার একটা বড় মাধ্যম খেলাধুলা। খেলাধুলা বা ক্রীড়ানুশীলনের মাধ্যমে কায়িক শ্রমের পাশাপাশি মন ও মননের সৃজনশীল শক্তি বৃদ্ধি পায়। খেলাধুলা আয়োজনের মাধ্যমে পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত হয়। জয় পরাজয়ের হিসাবটা এখানে বড় নয়। অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও মো. মুরশেদুল কবীর বলেন, খেলাধুলা বা ক্রীড়ানুশালনের মাধ্যমে মানুষ খুঁজে পায় জীবন বিকাশের বিশালতা, পায় জীবন সংগ্রামের দুর্জয় মনোভাব। আমরা সর্বদা ডেবিট-ক্রেডিট কাজের মধ্যে থাকি। তাই শরীর ও মনকে চাঙ্গা রাখতে এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন। সৌহার্দ্যপূর্ণ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার মাধ্যমে গড়ে ওঠা দুর্বার মানসিকতা নিয়ে প্রত্যেক অগ্রণীয়ান কর্মমুখর হয়ে অগ্রণীর উজ্জীবিত অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবে। এর মাধ্যমে দেশ ও জাতির সেবায় নিবেদিত অগ্রণী ব্যাংকের সর্ব স্তরের নির্বাহী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সততা, দক্ষতায় সজ্জিত হয়ে নিজ নিজ কাজের ক্ষেত্রে আলোকোজ্জ্বল ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশা করি।