চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে। এসময়ে সেখানে রপ্তানি প্রায় পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। তবে দেশের পোশাকের রপ্তানি কমেছে রাশিয়া, চীন, সংযুক্ত আরব-আমিরাত ও দক্ষিণ আফ্রিকায়। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও রপ্তানির বৃদ্ধির হার তুলনামূলক কম।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইপিবির তথ্যানুযায়ী, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর তিনমাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নে ৪ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেশি।
ইউরোপীয় ইউনিয়নে বৃহত্তম রপ্তানি বাজার জার্মানিতে বাংলাদেশের রপ্তানি তিনমাসে বেড়েছে এক দশমিক ৩৪ শতাংশ। রপ্তানির পরিমাণ এক দশমিক ৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। স্পেন ও ফ্রান্সে রপ্তানি যথাক্রমে ২১ দশমিক ৩৫ শতাংশ ও ৩৬ দশমিত ৭২ শতাংশ বেড়েছে।
ইইউর অন্যতম সম্ভাবনাময় বাজার পোল্যান্ড। তবে দেশটিতে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর- এ তিনমাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ কমেছে।
এদিকে, অর্থবছরের প্রথম তিনমাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছে। এতে রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক শূন্য ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
একই সময়ে যুক্তরাজ্য এবং কানাডায় রপ্তানি যথাক্রমে ১৫ দশমিক ১১ শতাংশ এবং ১৭ দমশিক ৪০ শতাংশ বেড়েছে। এতে যুক্তরাজ্যে রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার ও কানাডায় ৩৩৪ দশমিমক ৬৫ মিলিয়ন ডলার।
জুলাই-সেপ্টেম্বর তিনমাসে অপ্রচলিত বাজারে দেশের পোশাক রপ্তানি ২৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ বেড়ে হয়েছে এক দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার। যা আগের বছরের একই সময় ছিল এক দশমিক ৪৩ বিলিয়ন ডলার।
অপ্রচলিত বাজারের মধ্যে জাপানে রপ্তানি ১৬ দশমিক ৬০ শতাংশ বেড়ে ৩২০ দশমিক ৪০ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। ভারতেও দেশের পোশাক রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। তিনমাসে প্রতিবেশী দেশটিতে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৬৬ দশমিক ২০ শতাংশ, যার পরিমাণ ৩০৬ দশমিক ৩৯ মিলিয়ন ডলার।
অন্যদিকে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর সময়ের মধ্যে রাশিয়ায় রপ্তানি কমেছে ৪৭ দশমিক ৩০ শতাংশ। এছাড়া চীন, সংযুক্ত আরব-আমিরাত ও দক্ষিণ আফ্রিকায় রপ্তানি কমেছে যথাক্রমে ৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ, শূন্য দশমিক ১৩ শতাংশ, ৮ দশমিক ৭১ শতাংশ।
তৈরি পোশাক মালিক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অস্থিরতা ও খুচরা বাজারে প্রভাবের কারণে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানিসহ প্রধান বাজারগুলোতে রপ্তানি তুলনামূলক কম হয়েছে। তবে অপ্রচলিত বাজারের মধ্যে জাপানে রপ্তানি বেড়েছে। ভারতে আমাদের রপ্তানি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে।’