আগামী মঙ্গলবার বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে সিলেট অঞ্চল পরিদর্শনে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইদিন সকালে হেলিকপ্টারযোগে তিনি সিলেট যাবেন বলে নিশ্চিত করেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিশ্বস্ত সূত্র।
সূত্রটি জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে সিলেট যাবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করবেন। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহমর্মিতা জানাবেন। একইসঙ্গে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।
এদিকে সচিবালয় সূত্র নিশ্চিত করেছে, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান আগামীকাল সোমবার সিলেট যাচ্ছেন। তিনি সেখানে মঙ্গলবারও অবস্থান করবেন।
সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে প্রতিবেশী দেশ ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পূর্ব খাসি পাহাড়ের চেরাপুঞ্জিতে ১২২ বছরের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো রেকর্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত ১৫ থেকে ১৭ জুন বাংলাদেশের উজানে আসাম ও মেঘালয়ে তিনদিনের টানা বৃষ্টির পানি ঢল হয়ে আঁছড়ে পড়ে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে। এতে সিলেট শহরসহ বিভাগের প্রায় সব জেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তলিয়ে যায় সিলেটের প্রায় ৮০ শতাংশ ও সুনামগঞ্জের ৯০ শতাংশের বেশি এলাকা।
এ অবস্থায় ওইসব এলাকার লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যূত হয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে ওঠে। বয়স্ক মানুষ, শিশু ও গর্ভবতী নারীদের সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ফসলহানিসহ গবাদি পশু নিয়েও চরম বিপাকে পড়েছে মানুষ। বানের পানিতে চুলা তলিয়ে যাওয়ায় গত কদিন ধরে বহু মানুষের ঘরে রান্নাবান্নাও বন্ধ। এতে চরম আকার নিয়েছে খাদ্য সংকট। নলকূপ তলানোয় সুপেয় পানিরও হাহাকার দেখা দিয়েছে।
রোববার সিলেটে বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, সেনাবাহিনী দুর্গত মানুষের সহায়তায় যা কিছু করা সম্ভব তা করে যাচ্ছে। এরইমধ্যে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ঢাকা সাভারসহ বিভিন্ন ক্যান্টনমেন্টের সেনাসদস্যদের বন্যাকবলিতদের সহায়তায় নিয়োজিত করা হয়েছে। আরও অনেককে স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে।
এদিকে রেড ক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন।