আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই আরও ২১ লাখ ডোজ টিকা আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মো. খুরশীদ আলম।
তিনি বলেন, মে মাসের শুরুতেই ২১ লাখ ডোজ টিকা আমরা পাচ্ছি। তারমধ্যে এক লাখ ডোজ টিকা দেবে কোভ্যাক্স, আর বিশ লাখ ডোজ দেবে সেরাম ইনস্টিটিউট। রোববার (২৫ এপ্রিল) সকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বলেন, যেহেতু টিকা শেষ হওয়ার আগেই আমরা পাচ্ছি, সুতরাং টিকার কোনো সংকট হবে না। আর গণটিকাদানের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের কার্যক্রমও আমাদের চলবে।
খুরশিদ আলম বলেছেন, ‘চীন সিনোফার্মের তৈরি ৫ লাখ ভ্যাকসিন বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দেবে বলে জানিয়েছে। ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মহাপরিচালক এর অনুমোদন দিয়েছেন। এটি গ্রহণ করা হবে। গ্রহণ করার পর আমাদের যারা নীতি-নির্ধারক আছেন, তারা সিদ্ধান্ত নেবেন যে, কখন কীভাবে প্রয়োগ করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, দেশে তিনটি ফার্মাসিউটিক্যালসের করোনার টিকা তৈরি সক্ষমতা আছে। সব ধরনের টিকা ব্যবহারের সময় কিছু ক্ষতি হয়। করোনার ক্ষেত্রেও পাঁচ থেকে দশ শতাংশের মতো ক্ষতি হয়ে থাকতে পারে।
এদিকে করোনাভাইরাসের টিকা পেতে চীনসহ ছয়টি দেশের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। ‘ইমার্জেন্সি ভ্যাকসিন স্টোরেজ ফ্যাসিলিটি ফর কোভিড ফর সাউথ এশিয়া’ নামের এই প্ল্যাটফর্মের অন্য দেশগুলো হচ্ছে চীন, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা।
শুরুতেই চীন উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে ৬ লাখ ডোজ টিকা উপহার দেবে বলেও জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, এ জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হবে, যার খসড়া তৈরিও শেষ হয়েছে।