আগামী ১৯ নভেম্বর থেকে তিন টি-টোয়েন্টি ও দুই টেস্ট খেলতে বাংলাদেশে আসবে পাকিস্তান। বিশ্বকাপ শুরুর আগেই আনুষ্ঠানিকভাবে এ তথ্য জানানো হয়েছে। চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রীতিমতো উড়ছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। চির প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে উড়িয়ে যাত্রা শুরুর পর আফগানিস্তান ও নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে এক পা দিয়েই ফেলেছে বাবর আজমের দল। ভক্ত-সমর্থকদের প্রত্যাশা এবার দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হবে পাকিস্তান।
যদি সত্যিই চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান, তাহলে ১৪ নভেম্বর ফাইনালের মাত্র চারদিন পরই তাদের নামতে হবে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে। সেটিও কি না বাংলাদেশের বিপক্ষে।
যেহেতু বিশ্বকাপ ও দ্বিপাক্ষিক সিরিজের মাঝে একদমই সময় নেই, তাই বিশ্বকাপের পূর্ণাঙ্গ স্কোয়াড নিয়েই বাংলাদেশে খেলতে আসবে পাকিস্তান। আর টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর থাকা টেস্ট সিরিজের জন্য তাদের দেশ থেকে পরে উড়ে আসবে আরও চারজন ক্রিকেটার।
পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম জিও টিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে এ তথ্য। চলতি বিশ্বকাপ শেষ করে আর দেশে ফিরবেন না বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, শাদাব খানরা। বরং নতুন মিশনে চলে আসবেন বাংলাদেশে; টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি খেলতে।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) এক সূত্র জানিয়েছে, ‘বাংলাদেশের মাটিতে হতে যাওয়া সিরিজের জন্য সরাসরি আরব আমিরাত থেকেই চলে যাবেন ক্রিকেটাররা। দুই সিরিজের মাঝে তেমন সময় পাওয়া যাবে না। তাই খেলোয়াড়দের জৈব সুরক্ষা বলয় ত্যাগ করার অনুমতি দেয়া যাবে না।’
এ বিষয়ে একটি টুইস্ট রয়েছে। পাকিস্তান যদি সত্যিই চ্যাম্পিয়ন হতে পারে, তাহলে দেশবাসীর সঙ্গে শিরোপা উদযাপনের জন্য হয়তো দেশে ফিরতে পারেন বাবর-রিজওয়ানরা। অবশ্য এটি এখনও নিশ্চিত নয়।
পিসিবির সেই সূত্রের ভাষ্য, ‘চ্যাম্পিয়ন হলে ভিন্ন কিছু ঘটবে কি না, তা নির্দিষ্ট সময়ই জানা যাবে। তবে এখন পর্যন্ত যা সম্ভাবনা, তা হলো আমিরাত থেকে সরাসরি বাংলাদেশে চলে যাবে দল।’
বাংলাদেশ সফরের জন্য এখন পর্যন্ত স্কোয়াড ঘোষণা করেনি পাকিস্তান। তবে বোর্ডের সূত্র নিশ্চিত করেছে, বিশ্বকাপ দল নিয়েই বাংলাদেশে আসছে তারা। টেস্ট সিরিজের জন্য ইয়াসির শাহ, মোহাম্মদ আব্বাস, আব্দুল্লাহ শফিক ও সৌদ শাকিলরা পরে যোগ দেবেন দলের সঙ্গে।