আগামী ২৪ জুলাই থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাধারণ, কারিগরি/পেশাগত ক্যাডারের জন্য ধাপে ধাপে পরীক্ষা করা হবে।
সোমবার (৬ জুন) সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) আবদুল্লাহ আল মামুনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ৪৩তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা আগামী ২৪ জুলাই থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। এদিন সকাল ১০টা থকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ইংরেজি বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হবে। এতে সাধারণ ও কারিগরি/পেশাগত উভয় ক্যাডারের জন্য পরীক্ষা আয়োজন করা হবে। পরবর্তীসময়ে ২৫ জুলাই সাধারণ জ্ঞান (বাংলাদেশ বিষয়াবলি), ২৬ জুলাই আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি, ২৭ জুলাই গাণিতিক যুক্তি, ২৮ জুলাই সাধারণ বিজ্ঞনি ও প্রযুক্তি ও ৩১ জুলাই বাংলা পরীক্ষা (কারিগরি পেশাগত ক্যাডারের জন্য) আয়োজন করা হবে। এরপর ৫ সেপ্টেম্বর থেকে কারিগরি/পেশাগত ক্যাডারের জন্য বিভিন্ন বিষয়ের পরীক্ষা শুরু হবে। পরবর্তী সময়ে ৬ সেপ্টেম্বর ও ৭ সেপ্টেম্বর এসব ক্যাডারের বিভিন্ন বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, আবশ্যিক ও পদ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ের পরীক্ষার হল, আসন ব্যবস্থা এবং সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা যথাসময়ে পিএসসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
এর আগে গত ২০ জানুয়ারি ফলাফল প্রকাশ করা হয়। এতে ১৫ হাজার ২২৯ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হন। এই বিসিএসে প্রায় চার লাখ প্রার্থী অংশ নেন। গত বছরের ২৯ অক্টোবর ৪৩তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। কয়েক দফায় এ বিসিএসের আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছিল। ৪৩তম বিসিএসে আবেদন জমা পড়েছিল ৪ লাখ ৩৫ হাজার ১৯০টি। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাইনাল পরীক্ষা শেষ না হওয়ার কারণে তিন দফায় ৪৩তম বিসিএসের আবেদনের সময় বাড়িয়েছিল পিএসসি।
৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ বিসিএসে বিভিন্ন ক্যাডারে এক হাজার ৮১৪ জন কর্মকর্তা নেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রশাসন ক্যাডারে তিনশ জন, পুলিশ ক্যাডারে একশ জন, পররাষ্ট্র ক্যাডারে ২৫ জন, শিক্ষা ক্যাডারে ৮৪৩ জন, অডিটে ৩৫ জন, তথ্যে ২২ জন, ট্যাক্সে ১৯ জন, কাস্টমসে ১৪ জন ও সমবায়ে ১৯ জন নিয়োগ দেওয়া হবে।