রোববার (১৫ জানুয়ারি) ২০২২-২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই এমপিএস ঘোষণা করবেন।
গভর্নর মুদ্রাস্ফীতি ব্যবস্থাপনা, বেসরকারি খাতের ঋণের প্রবাহ বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি জোরদার করার ক্ষেত্রে বর্তমান এমপিএসের ফলাফল সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন। এর আগে ২০২২ সালের জুনে, বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২২-২৩ (অর্থববছর ২৩) অর্থবছরের জন্য একটি ‘সতর্কতা’ এমপিএস প্রকাশ করেছিল।
এমপিএসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০২০-২৩ অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ ঋণ প্রবৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ১৮ দশমিক ২ শতাংশ এবং বেসরকারি খাতে ১৪ দশমিক ১ শতাংশ এবং সরকারি খাতে ৩৬ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে।
মুদ্রানীতি মূলত, দেশের দারিদ্র্য বিমোচন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখে। তবে, মুদ্রানীতির আরেকটা কাজ হলো দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা করা। মূলত বাংলাদেশ ব্যাংক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে খোলাবাজার কার্যক্রম, সংবিধিবদ্ধ জমার অনুপাত পরিবর্তনসহ ব্যাংক হার পরিবর্তনের মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে দেশের সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলেছে উচ্চ মূল্যস্ফীতি। তাই এই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ছাড়া আর কিছু ভাবছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই ভাবনা থেকে একাধিকবার নীতি সুদহার বৃদ্ধি করেছে ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংক। তবু অধিকাংশ জিনিসপত্রের দাম নাগালের বাইরে চলে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে আসছে নতুন মুদ্রানীতি।
জানা গেছে, দেশের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে উৎপাদন খাতে তারল্য সাপ্লাই বৃদ্ধি ও বৈদেশিক মুদ্রার রেটকে স্থিতিশীল করতে এক্সপোর্ট প্রসিড ও রেমিট্যান্স রেট সমন্বয়ের জন্য মুদ্রানীতিতে বিশেষ গুরুত্ব দিবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।