আজ বুধবার (৩ জুন) থেকে নতুন করে আরও ১১ জোড়া আন্তনগর ট্রেন চালু হচ্ছে। সব মিলিয়ে আজ থেকে ১৯ জোড়া ট্রেন চলবে। প্রথম দফায় গত রোববার ৮ জোড়া ট্রেন চালু হলেও খুব একটা যাত্রাবিরতি ছিল না। তবে নতুন ১১ জোড়া ট্রেনে চালু হওয়ায় যাত্রাবিরতি তুলনামূলকভাবে কিছুটা বেশি হবে বলে জানান রেল কর্মকর্তারা।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে এখন ট্রেনে মোট আসনের অর্ধেক টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। স্টেশনে ভিড় এড়াতে শতভাগ টিকিট বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে।
স্বাভাবিক সময়ে রেলের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলে ৫২ জোড়া আন্তনগর ট্রেন চলাচল করে। করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘ ৬৬ দিন বন্ধ থাকার পর গত রোববার থেকে সীমিত আকারে চালু হয়েছে। আগামী ১৫ দিন ১৯ জোড়া ট্রেন চালিয়ে দেখার পর সব কয়টি আন্তনগর ট্রেন চালু করা হতে পারে বলে রেলের কর্মকর্তারা জানান।
তারা বলছেন, রেলে প্রায় দুই শতাধিক লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চলে। লোকাল ও কমিউটার ট্রেন চালু করার জন্য সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত লাগবে।
আজ থেকে যেসব ট্রেন চলবে
প্রথম দফায় বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে কোনো ট্রেন চালু হয়নি। আজ থেকে দেওয়ানগঞ্জগামী আন্তনগর তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেন দুটি চালু হতে যাচ্ছে।
ঢাকা–নোয়াখালী অঞ্চলের একমাত্র আন্তনগর ট্রেন উপকূল এক্সপ্রেস চালু হচ্ছে। এ ছাড়া খুলনা–চিলাহাটি পথের রূপসা, খুলনা–রাজশাহী পথের কপোতাক্ষ, রাজশাহী–গোয়ালন্দঘাট পথের মধুমতি ও চট্টগ্রাম–চাঁদপুর পথের মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনের চলাচল শুরু হচ্ছে।
এর বাইরে বেনাপোল এক্সপ্রেস (ঢাকা–বেনাপোল), নীলসাগর এক্সপ্রেস (ঢাকা–চিলাহাটি), কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস (ঢাকা–কিশোরগঞ্জ), কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস (ঢাকা–কুড়িগ্রাম)।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকার পথে আমবাহী লাগেজ ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। আগামী শুত্রবার থেকে তা চলবে। এই ট্রেন দিয়ে আমের পাশাপাশি সব ধরনের শবজি, ফলমূল, ডিমসহ কৃষিপণ্য পরিবহন করা যাবে।