আজ বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) থেকে আরও ১৮ জোড়া (৩৬টি) যাত্রীবাহী ট্রেন চালু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এসব ট্রেনের মধ্যে আন্তঃনগর, কমিউটার এবং মেইল ট্রেনও রয়েছে। সরকারী গণপরিবহন হিসেবে ক্রমান্বয়ে সকল ট্রেন চালুর অংশ হিসেবে এগুলো চালু করা হচ্ছে।
গত ২০ আগস্ট রেলওয়ের উপপরিচালক (ডিডি) খায়রুল কবিরের সই করা একটি আদেশে নতুন ট্রেন চলবে বলে জানানো হয়। এর আগে ১৬ আগস্ট থেকে ১৩ জোড়া ট্রেন চালু করা হয়। এর আগে থেকে ১৭ জোড়া ট্রেন চলছিল। নতুন ১৮ জোড়া ট্রেনের মাধ্যমে ঢাকা থেকে সারাদেশে মোট ৪৮ জোড়া ট্রেন চলাচল শুরু করছে।
নতুন করে চালু হতে যাওয়া ট্রেনগুলো হচ্ছে পাহাড়িকা/উদয়ন (চট্টগ্রাম-সিলেট), এগারো সিন্দুর প্রভাতী ও গোধূলি ঢাকা-কিশোরগঞ্জ, যমুনা এক্সপ্রেস ঢাকা-তারাকান্দি, সোনার বাংলা এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম-ঢাকা, চট্টলা এক্সপ্রেস চট্টগ্রাম-ঢাকা ও করোতোয়া এক্সপ্রেস সান্তাহার-বুড়িমারী। এছাড়া বরেন্দ্র এক্সপ্রেস রাজশাহী-চিলাহাটি, সিল্কসিটি এক্সপ্রেস রাজশাহী-ঢাকা, সাগড়দাঁড়ি এক্সপ্রেস খুলনা-রাজশাহী, দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস সান্তাহার-দিনাজপুর, ঢালারচর এক্সপ্রেস ঢালারচর-রাজশাহী, ঢাকা/চট্টগ্রাম মেইল ঢাকা-চট্টগ্রাম, দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ বাজার, বলাকা কমিউটার ঢাকা-জারিয়া ঝাঞ্জাইল, বগুড়া কমিউটার সান্তাহার-লালমনিরহাট, রকেট এক্সপ্রেস খুলনা- পার্বতীপুর এবং চিলাহাটী এক্সপ্রেস পার্বতীপুর-চিলাহাটি-পার্বতীপুর রুটে চলবে এসব ট্রেন। এই ট্রেনেগুলোর সব টিকেট অনলাইন ও এ্যাপের মাধ্যমে পাঁচদিন আগে থেকে কেনা যাবে। তবে, কোন টিকেট ফেরত দেয়ার সুযোগ থাকছে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে আন্তঃনগর কোন ট্রেনে স্ট্যান্ডিং টিকেট দেয়া হচ্ছে না এবং মোট আসনের অর্ধেক টিকেট বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া ট্রেনে কোন খাবার বা বেডিংপত্র সরবরাহ করা হবে না। এজন্য সোনার বাংলা এক্সপ্রেসের ভাড়া থেকে খাবারের মূল্য ও রাতে ট্রেনের উচ্চ শ্রেণীর ভাড়া থেকে বোর্ডিং চার্জ বাদ দেয়া হবে।
সূত্র জানায়, নতুন এসব ট্রেনের মধ্যে অর্ধেক পূর্বাঞ্চলে এবং অর্ধেক পশ্চিমাঞ্চলে। অন্তত ৯ জোড়া ট্রেনের গন্তব্য ও যাত্রার স্থান ঢাকার বাইরে। বাকি ৯ জোড়া ঢাকা থেকে বিভিন্ন জেলায় চলাচল করবে।