বহুল প্রত্যাশিত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে। রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায় ফিরতে রাজি হলেই কেবল বাংলাদেশ তাদের ফেরত পাঠাবে। তবে কাউকে জোর করে পাঠানো হবে না। এর আগে গত বছরের ১৫ নভেম্বর প্রত্যাবাসন চেষ্টার প্রক্রিয়া ব্যর্থ হয়। এরপর মিয়ানমার আজ আবারও প্রত্যাবাসন শুরুর দিন ঠিক করেছে।
জানা গেছে, তালিকা অনুযায়ী এক হাজার ৩৮টি পরিবারের তিন হাজার ৩৯৯ জন রোহিঙ্গার সম্মতি যাচাইয়ের জন্য গত ৮ আগস্ট বাংলাদেশ জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থাকে দায়িত্ব দিয়েছে। সেই যাচাই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর গত দুই দিনে বেশির ভাগই বর্তমান পরিস্থিতিতে মিয়ানমারে ফিরতে আগ্রহী হয়নি। এমন প্রেক্ষাপটে প্রত্যাবাসন শুরু করা যাবে কি না তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
তবে সরকারি সূত্রগুলো বলছে, তারা পুরোপুরি প্রস্তুত। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া দেখতে ঢাকায় মিয়ানমার ও চীন দূতাবাসের কর্মকর্তারা কক্সবাজারে অবস্থান করছেন। তালিকায় থাকা রোহিঙ্গাদের অনেকে ফিরতে যেমন অনীহা আছে তেমনি অনেকেই ফিরতে আগ্রহও প্রকাশ করেছে।