শনিবার, ২৬শে এপ্রিল ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

UCB Bank

আমদানি বাড়লেও রিজার্ভ ছাড়াল ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার

প্রকাশঃ

বিশ্বব্যপী করোনা সংক্রমনের মধ্যে দেশে বিভিন্ন পণ্য সামগ্রীর আমদানি বেড়েছে বহুগুনে। তবে আমদানি বাড়লেও বাংলাদেশে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ছাড়াল ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার।

এ পর্যন্ত দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে এটিই সর্বোচ্চ। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) দিন শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৮ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলার, যা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। এই রিজার্ভ দিয়ে প্রতি মাসে ৬ বিলিয়ন ডলার হিসেবে ৮ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।

প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ইতিবাচক ধারা এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ১ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারের ঋণ-সহায়তা যোগ হওয়ায় বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন এই নতুন উচ্চতায় উঠেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান।

গত ২৯ জুন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ ৪৬ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মে-জুন মেয়াদের আমদানি বিল পরিশোধের পর তা ৪৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে।

গত দেড় মাসের কিছু বেশি সময়ে তা বেড়ে আবার ৪৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। সোমবার রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার।

মঙ্গলবার আইএমএফের এসডিআর (স্পেশাল ড্রয়িং রাইটস) নামে পরিচিত ১ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারের ঋণ যোগ হওয়ায় সেই তা এক লাফে ৪৮ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলারের নতুন উচ্চতায় উঠে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, চলতি আগস্ট মাসের ২৩ দিনে (১ থেকে ২৩ আগস্ট) প্রবাসীরা ১ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ সূচক রিজার্ভ ৪৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি বিল পরিশোধের রিজার্ভ ৪৪ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে। মার্চের শেষের দিকে তা আবার ৪৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়।

২৮ এপ্রিল রিজার্ভ ৪৫ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। তবে ৪ মে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ৪৪ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে।

এক মাসেরও কম সময়ে ১ জুন তা ফের ৪৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। জুন মাস শেষে সেই রিজার্ভ আরও বেড়ে ৪৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল।

এর আগে গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর রিজার্ভ ৪৩ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। ১৫ ডিসেম্বর ৪২ মিলিয়ন এবং ২৮ অক্টোবর ৪১ বিলিয়ন অতিক্রম করে।

শেয়ার করুনঃ

উপরের পোস্টটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

এই মাত্র প্রকাশিত

এই বিভাগের আরও সংবাদ