আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক পিএলসি. এর ব্যবসা উন্নয়ন সম্মেলন-২০২৫ রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল এর বলরুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান খাজা শাহরিয়ার প্রধান অতিথি হিসেবে ২৫ জানুয়ারি, শনিবার সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও ফরমান আর চৌধুরী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় পর্ষদের পরিচালক জনাব মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ, মোঃ শাহীন উল ইসলাম, অধ্যাপক ড. এম আবু ইউসুফ এবং মোহাম্মদ আশরাফুল হাছান এফসিএ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ রাফাত উল্লা খান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ নাদিম, মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুন, মোঃ ফজলুর রহমান চৌধুরী, মোঃ আসাদুজ্জামান ভূঁঞা, মোঃ আমিনুল ইসলাম ভূঁঞা, মোহাম্মদ হোসেন, কাজী মাহমুদ করিম, এস এম আবু জাফর, ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীগণ, জোনাল হেডগণ এবং ২২৬টি শাখার ব্যবস্থাপকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। এ সময় ব্যাংকের সার্বিক ব্যবসা পরিস্থিতি নিয়ে পরিচালক পর্ষদ এবং ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ শাখা ব্যবস্থাপকবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ব্যাংকের চেয়ারম্যান খাজা শাহরিয়ার বলেন, গ্রাহকের আস্থা ও বিশ্বাসের কারণেই আল আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক দেশের অন্যতম সেরা ব্যাংক। ব্যাংকের আধুনিকায়ন, কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি, ব্রান্ডিং, ডিজিটাল ইনোভেশন ও অটোমেশন এবং নতুন নতুন প্রোডাক্টের মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা আমরা গ্রাহকদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সচেষ্ট। সুশাসন, জবাবদিহিতা ও দায়িত্ববোধকে আরো সুসংহত করে আমরা টেকসই উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিতে চাই। এসময় তিনি ব্যাংকের খেলাপি বিনিয়োগ আদায় ও কমিয়ে আনতে শাখা ব্যবস্থাপকদের বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করেন।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সিইও ফরমান আর চৌধুরী বলেন, শাখা ব্যবস্থাপকগণকে ব্যবসার বিভিন্ন ক্ষেত্রে টার্গেট অর্জনের প্রতি আরও মনোযোগী হওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, আমানত ও মান সম্পন্ন বিনিয়োগ বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। তিনি গ্রাহক সেবায় শাখা সমুহকে আরও আন্তরিক হওয়ার মাধ্যমে উন্নত ও দ্রুততর সেবা প্রদানের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করে গ্রাহকদের সর্বাধুনিক ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে।
উল্লেখ্য, অনিরীক্ষিত তথ্য অনুযায়ী ২০২৪ সাল শেষে ব্যাংকের মোট আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৭,৭৩৫ কোটি টাকা। এ সময় আমদানি ও রপ্তানির পরিমান ছিলো যথাক্রমে ৩৪,৩৮২ কোটি এবং ২৫,৫৮০ কোটি টাকা। এসময়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৯,০১৪ কোটি টাকা।