ইন্টারনেট ও কেবল টিভির ঝুলন্ত তার মাটির নিচে প্রতিস্থাপনে নভেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে আপাতত তার অপসারণের অভিযান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
রোববার (১৮ অক্টোবর) ডিএসসিসির নগরভবনে মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) ও কেবল অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) নেতাদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সড়কে ঝুলন্ত তার অপসারণে আপাতত অভিযান পরিচালনা করা হবে না। সংশ্লিষ্টরা নিজ খরচে মাটির নিচ দিয়ে তারের সংযোগ নেবেন। নভেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্টরা কাজ শেষ করবেন।
বৈঠকে আইএসপিএবির সভাপতি এম এ হাকিম বলেন, আজকে থেকেই আমরা ঝুলন্ত তার নামিয়ে মাটির নিচ দিয়ে সংযোগের কাজ শুরু করে দেব। আশা করি, নভেম্বরের মধ্যেই আমরা এই কাজ শেষ করতে পারব।
এর আগে ঝুলন্ত তার অপসারণের প্রতিবাদে আজ থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখার কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল আইএসপিএবি এবং কোয়াব।
গত সোমবার (১২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্থায়ী সমাধান না করা পর্যন্ত কোনো ঝুলন্ত ক্যাবল অপসারণ না করাসহ পাঁচ দফা দাবি জানায় আইএসপিএবি ও কোয়াব।
তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে- আইএসপিএপি, কোয়াব, বিটিআরসি, এনটিটিএন এবং সিটি করপোরেশন সমন্বয়ে ‘লাস্ট মেইল ক্যাবল’ স্থাপন করা হয়েছে কি না- তা নিশ্চিত করার জন্য একটি কমিটির মাধ্যমে সরেজমিনে তদন্তের ব্যবস্থা করা; সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাসাবাড়ি, অফিস ও ব্যাংকসহ সব পর্যায়ে ইন্টারনেট ও ক্যাবল টিভি সেবার মূল্য নির্ধারণ করা; গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট ও ক্যাবল টিভি সেবা স্বল্পমূল্যে দেয়ার লক্ষ্যে এনটিটিএনের মূল্য সরকারের মাধ্যমে নির্ধারণ করা এবং গ্রাহক পর্যায়ে নিরবচ্ছিন্ন সেবা প্রদানে নিশ্চয়তার পক্ষে এনটিটিএনগুলো সার্বিক সক্ষমতা আছে কি-না তা যাচাইয়ের ব্যবস্থা করা।
এই পরিস্থিতিতে গতকাল শনিবার বিকেলে আইএসপিএবির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জাব্বার এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমদ পলক।
সেই বৈঠকে মন্ত্রীর আশ্বাস মেলার পর আপাতত কর্মসূচি স্থগিত করার কথা জানান আইএসপিএবি সভাপতি আবদুল হাকিম।