পরিবারের সাথে এক সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করতে ইতিমধ্যে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ। ঈদযাত্রায় বাস-ট্রেন-লঞ্চের পাশাপাশি আকাশপথের ব্যবহার বেড়েছে। সড়ক, রেল ও নৌপথের ভোগান্তি এড়াতে এবং কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে আকাশপথে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছেন অনেকে। ঈদযাত্রায় তাই চাহিদা বেড়েছে এয়ার টিকিটের। সেই সাথে বেড়েছে টিকিটের দামও।
অনেক ক্ষেত্রে দ্বিগুণেরও বেশি টাকা দিয়ে মিলছে না ঈদ যাত্রার টিকিট। গতকাল অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট পরিচালনাকারী এয়ারলাইন্সগুলোর ওয়েবসাইট ঘুরে দেখা গেছে, ঈদযাত্রার টিকিটে স্বাভাবিক সময়ের থেকে দ্বিগুণেরও বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। তবুও টিকিট মিলছে না।
ভাড়া নির্ধারণ করা হচ্ছে স্লাবে ভাগ করে। প্রোমো, স্পেশাল, ডিসকাউন্ট, সেভার, ফ্লেক্স, ফ্লেক্সিবল, ফ্লেক্স সেভার- এরকম নানা ধাপে ভাগ করে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে। ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের ঢাকা- সৈয়দপুর রুটের ২৯শে এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হচ্ছে ৮ হাজার ৪০০ থেকে ১০ হাজার ৮০০ টাকায়। সাধারণ সময়ে এই রুটের ভাড়া ৪ হাজার ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকা।
নভোএয়ারের ঢাকা-বরিশাল রুটের ২৮শে এপ্রিলের টিকিট বিক্রি হচ্ছে ৭ হাজার ৪০০ থেকে ৮ হাজার ৪০০ টাকায়। সাধারণ সময়ে এই রুটের ভাড়া ৪ হাজার ৮০০ থেকে ৫ হাজার ২০০ টাকা। ওয়েবসাইটে দেখানো হচ্ছে- ২৮ ও ২৯শে এপ্রিলের সিট বাকি আছে ২ থেকে ৩টি। সাধারণত ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স ঢাকা থেকে অভ্যন্তরীণ ৭ রুটে প্রতিদিন ৩০টির বেশি ফ্লাইট পরিচালনা করে। নভোএয়ার পরিচালনা করে ২২টি ফ্লাইট। আর বিমান বাংলাদেশ পরিচালনা করে ১৬টির মতো ফ্লাইট। ঈদকে সামনে রেখে ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়ানোর চিন্তা করছে এয়ারলাইন্সগুলো। তবে ফ্লাইট সংখ্যা বাড়লেও ভাড়া কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। এবং কোনো কোনো রুটে ভাড়ার পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন এয়ারলাইন্সগুলোর কর্মকর্তারা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদ যাত্রার টিকিট কিছু যাত্রী অগ্রিম সংগ্রহ করে থাকেন। ফলে ঈদের ৩ থেকে ৪ সপ্তাহ আগে থেকেই টিকিটের দাম বাড়তে শুরু করে। শেষ পর্যায়ে এসে টিকিটের দাম দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ পর্যন্ত বাড়তি হয়।
আরও পড়ুন : শাহজালাল বিমানবন্দরে সাড়ে ছয় কেজি সোনার বার সহ যাত্রী আটক
বেসরকারি সংস্থা ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) কামরুল ইসলাম বলেন, ২৮শে এপ্রিল থেকে ১লা মে পর্যন্ত টিকিটের চাপ অনেক বেশি। ঈদ যাত্রায় ঢাকা থেকে সৈয়দপুর, যশোর, রাজশাহী ও বরিশাল রুটে টিকিটের চাহিদা বেড়েছে। আর ঈদের আগে ও পরে ঢাকা থেকে সিলেট, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার রুটে চাপ রয়েছে। ঈদের পরে যারা ঘুরতে যাবেন তারা আগে থেকেই কক্সবাজারের ফিরতি টিকিটও কেটে রেখেছেন।