ঈদের ছুটির তিনদিন করোনার টিকাদান কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ছুটির আগের দিন রাজধানীর হাসপাতালগুলোর টিকা কেন্দ্রগুলো ফাঁকা ছিলো বললেই চলে। রোজা এবং ঈদের ছুটির কারণে মানুষ কম বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এদিকে, টিকা সংকটে প্রথম ডোজের রেজিস্ট্রেশন বন্ধ। আর যারা দ্বিতীয় ডোজ নিবেন তাদের অনেকেই পাচ্ছেন না এসএমএস।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে টিকা নিতে রেজিস্ট্রেশন করেছিলেন ৩২ হাজার ৬৩৪ জন। প্রথম ডোজ নিয়েছেন ২৭ হাজার ৪৯৪ জন, দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২২ হাজার ২০৬ জন। রেজিস্ট্রেশন করেও টিকা নেননি ৫ হাজার ১৪০ জন।
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দীন বলেন, ‘প্রথম দিকে তো অনেক বেশি ছিলো। এমনও দিন গেছে ১৯শ’ পর্যন্ত দিয়েছি। এখন দুই থেকে তিনশ দেয়া হয় প্রতিদিন। যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদের সকলকে ২য় ডোজ দিতে পারবো কিনা আমরা কনফার্ম না। প্রায় সবাইকে দিতে পারবো তবে শেষের দিকে শর্ট পড়তে পারে।’
রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতাল ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টিবি হাসপাতালে গড়ে ১২ থেকে ১৫শ’ মানুষকে টিকা দেয়া হয়। সেগুলোতে এখন দিনে ১৫০ থেকে ২০০ মানুষ টিকা নিচ্ছেন।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টিবি হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার বলেন, ‘প্রথম ডোজ দিয়েছিলাম ১২ হাজার ৩৯৫ টার মত। ২য় ডোজ ইতিমধ্যে ১০ হাজারের ওপর দিয়েছি। এ মাস যতটুকু আছে চালিয়ে নিয়ে যাবো। সরকারি নির্দেশ আছে। যেটুকু শর্টেজ আছে চলে আসবে।’
জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. গনি মোল্লা বলেন, ‘আজকে তো শেষ কর্মদিবস ঈদের আগে তাই লোকজন কম হবেই। যারা ১ম ডোজ নিয়েছেন ঈদের পর পাবেন। আর নতুন করে ১ম ডোজটা আমরা বন্ধ রেখেছি।’
টিকা সংকটে কাটাতে চীন থেকে আসা ৫ লাখ ডোজ কিছুটা স্বস্তি আনলেও তা পর্যাপ্ত নয় বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।