গত বছরের চেয়ে এ বছর উমরাহ পালনের খরচ ১০-১৫ হাজার টাকা বাড়তে পারে। হোটেল এবং গাড়ি ভাড়ার টাকা অনলাইনে জমা দেয়াসহ নতুন নিয়ম যুক্ত করেছে সৌদি আরব। অনলাইনে টাকা ট্রান্সফারে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা পেলেই উমরাহ কার্যক্রম শুরু করবেন এজেন্সিগুলো।
এজেন্সি মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উমরাহ পালনে এ বছর খরচ বাড়ার পেছনে যে কারণ তার অন্যতম হচ্ছে ১) সৌদি সরকার উমরাহ ভিসায় তিনশত রিয়াল (৬ হাজার ৭৬৫ টাকা) ফি আরোপ ২) ভিসা সার্ভিস চার্জ এবং ৩) সৌদি উমরাহ সেবাদানকারী কোম্পানির চার্জ।
বিগত বছরে সৌদি উমরাহ্ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৫-৭ হাজার টাকা দিলেই মিলতো উমরাহ্ ভিসা। কিন্তু এবছর সৌদি সরকার উমরাহ্ ভিসার উপর অতিরিক্ত ৬ হাজার ৭৬৫ টাকা ফি নির্ধারণ করে দিয়েছে। সেই সাথে মক্কা-মদীনায় হোটেল এবং সৌদিতে যাতায়াতের জন্য গাড়ি ভাড়ার টাকা আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং হিসাব আইবিএএন (IBAN) এর মাধ্যমে পরিশোধের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে।
গত বছরে সর্বনিম্ন ৬৫ হাজার টাকায় উমরাহ পালন করা গেলেও এবার সেটা ৭৫-৮০ হাজারে কোটা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সৌদি সরকারের নতুন এই নিয়মের কারণে উমরাহ্ পালনের খরচ বাড়লেও প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা কমবে এবং সঠিক সেবা পাবেন হাজীরা। আগে কম টাকায় উমরাহ্ করতে এসে হোটেল এবং গাড়ী সেবা পেতে প্রতারণার শিকার হলেও নতুন নিয়মে সেটা রোধ হবে বলে মনে করেন হজ এজেন্সির মালিকরা।
বছরে একাধিকবার উমরাহ্ পালনকারীকে অতিরিক্ত ৪৫ হাজার টাকা দেয়ার নিয়ম প্রত্যাহার এবং উমরাহ্ ভিসায় এসে অন্তত ১৪ দিন মক্কা-মদীনায় অবস্থানের পর সৌদি আরবের যেকোন শহরে ভ্রমণের সুযোগ দিয়েছে সৌদি আরব। এতে করে উমরাহ্ পালনকারীর সংখ্যা আগের বছরগুলোর তুলনায় এবার বাড়বে বলে আশা করছেন সৌদি কর্তৃপক্ষ। প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে দেড় লক্ষাধিক ধর্মপ্রাণ মুসলমান উমরাহ্ পালন করে থাকেন।