করোনাভাইরাস রুখতে মিশ্র টিকা অথ্যাৎ বিভিন্ন কোম্পানির টিকা নেওয়ায় ক্ষতি বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়েও দুশ্চিন্তা নেই। বরং মিশ্র টিকায় প্রতিরোধ ক্ষমতা আরো বাড়ে। করোনার বিরুদ্ধে মিশ্র টিকার ব্যবহার নিয়ে যখন সারা বিশ্বে গবেষণা চলছে, সে সময় এমনই তথ্য উঠে এসেছে রাশিয়ান ডায়রেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড (আরডিআইএফ)-এর রিপোর্টে। অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকার সঙ্গে রাশিয়ার স্পুটনিক-ভি টিকার উপাদান মিশিয়ে পরীক্ষা করে এমনই ফল পাওয়া গেছে বলে দাবি সংস্থাটির।
মিশ্র টিকার কার্যকারিতা পরীক্ষা করতে স্পুটনিক-ভি টিকার প্রাথমিক উপাদান (স্পুটনিক লাইট) মেশানো হয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার সঙ্গে। তাতে কোনও মারাত্মক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি বলে দাবি রাশিয়ার গবেষকদের। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনও এই রিপোর্টে অনুমোদন দেয়নি।
কিন্তু একটি সংস্থার তৈরি দু’টি টিকা নিলে করোনার বিরুদ্ধে যে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে, স্পুটনিক ভি এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার মিশ্র টিকার কার্যকারিতা তার চেয়ে ৮০ গুণ বেশি বলে দাবি করা হয়েছে ওই রিপোর্টে।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়- করোনার বিরুদ্ধে মিশ্র টিকার কার্যকারিতা নিয়ে আরডিআইএফ-ই এর রিপোর্টই বিশ্বের মধ্যে সর্বপ্রথম। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে আজারবাইজানে স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে এই পরীক্ষা শুরু হয়। তার অন্তর্বর্তী রিপোর্টেই মিশ্র টিকাকে নিরাপদ বলা হয়েছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, যারা মিশ্র টিকা নিয়েছেন, তাদের শরীরে কোনরকম সমস্যা দেখা দেয়নি। বরং শরীরে সংক্রমণ প্রতিরোধের ক্ষমতা তুলনামূলক বেশি পাওয়া গিয়েছে এবং এক ধরনের টিকার তুলনায় তা বেশি দীর্ঘস্থায়ীও।
আরডিআইএফ-এর অধিকর্তা কিরিল দিমিত্রিয়েভ বলেন, ‘‘যেভাবে করোনার নতুন নতুন প্রজাতি উঠে আসছে, তাতে টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি মিশ্র টিকা নিয়ে যত বেশি উদ্যোগী হবে, অতিমারির বিরুদ্ধে লড়াই ততই সফল হবে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে হাত মিলিয়ে আমার এই প্রচেষ্টা সেই পথেই প্রথম পদক্ষেপ। “