নির্মাণাধীন ভবনে জমা পানিতে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের বাহক এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ঈদের পর যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করবে রিহ্যাব এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। এছাড়া রিহ্যাব তার সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঈদের আগে বিনামূল্যে এডিশ মশা প্রতিরোধক নোভালিউরন ট্যাবলেট বিতরণ করবে। আজ ৪ জুলাই সোমবার গুলশান নগর ভবনে উত্তর সিটি কর্পোরেশন এবং রিহ্যাব এর মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
মতবিনিময় সভায় উত্তর সিটি কর্পোরেশন এর মেয়র আতিকুল ইসলাম, রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট আলগমীর শামসুল আলামিন (কাজল), রিহ্যাব এর ভাইস প্রেসিডেন্ট (ফিন্যান্স) প্রকৌশলী মোহাম্মদ সোহেল রানাসহ উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন জোনের শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় উত্তর সিটি কর্পোরেশন এর মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আগে নির্মাণাধীন ভবনে ব্যাপক মাত্রায় ডেঙ্গু রোগের বাহক এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যেত। উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সহায়তা ও তত্ত্বাবধায়নে রিহ্যাব সদস্যবৃন্দের ফলপ্রসু কার্যক্রমের কারণে পূর্বে যেখানে নির্মাণ প্রকল্প সমূহে ৬৫-৭০% লার্ভার অস্তিত্ব দেখা যেত সেটি এখন ব্যাপক হারে কমে ৩-৪ % নেমে এসেছে। এটি শূন্য শতাংশে নামিয়ে আনার আহ্বান জানান তিনি। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। ড্রোন দিয়ে বাসা বাড়ির ছাদে মশার লার্ভা সনাক্তের কথা জানান তিনি। আসন্ন ঈদে নগরবাসীকে মশা নিয়ন্ত্রণে সহযোগীতা এবং সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান মেয়র মহোদয়। সচেতনতা বৃদ্ধি করতে নির্মাণাধীন ভবনে এডিশ মশা বিরোধী ব্যানার প্রদর্শনের পরামর্শ দেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট আলমগীর শামসুল আলামিন (কাজল) এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে রিহ্যাব এর বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরনে। তিনি বলেন, সামাজিক দায়িত্বের পদক্ষেপ হিসেবে আমরা আমাদের মেম্বারদের অব্যাহত ভাবে এসএমএস, চিঠি, র্যালী এবং মতবিনিময় সভার মাধ্যমে সচেতন করে তুলেছি। ফলে নির্মাণাধীন ভবনে ৬৫-৭০ শতাংশ থেকে বর্তমানে ৩-৪ শতাংশ ভবনে লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে। রিহ্যাব মেম্বারদের জনসচেতনার কারণে এটা সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন রিহ্যাব প্রেসিডেন্ট। রিহ্যাব এবং সিটি কর্পোরেশন এক সাথে কাজ করে এটা শূন্যে নামিয়ে আনার উদ্যোগের কথা বলেন তিনি।
সভায় উত্তর সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, এডিস মশা ভুমির সাথে সংযুক্ত নয় এমন পানিতে ডিম পাড়ে। এ জন্য তিন দিনের বেশি কোথায় যাতে পানি না জমে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বাড়ির ছাদ, বেজমেন্ট, টব, সোলার প্যানের নিচে, ওয়াসার পানির মিটারসংলগ্ন স্থানসহ মশা বিস্তারের জায়গায় কেরোসিন তেল, পোড়া মবিল অথবা এডিশ মশা প্রতিরোধক নোভালিউরন ট্যাবলেট প্রয়োগ করার কথা বলা হয়। এই মশা নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো এবং নতুন মেশিনক্রয়সহ ব্যাপক উদ্যোগের কথা জানানো হয় সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে।