এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংকের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার করোনা ভাইরাসের কারণে স্বল্পপরিসরে রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন, ঢাকা স্টক একচেঞ্জ, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের প্রতিনিধি, ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমাল, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী মো. মুখতার হোসেন, ব্যাংকের কোম্পানী সচিব মোজাম্মেল হোসেন, সিএফও হারুনুর রশিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সম্মানিত অতিথি হিসেবে পানি প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব) জাহিদ ফারুক, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারসহ বিভিন্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান, পরিচালক, এমডি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সিনিয়র সাংবাদিক ও শেয়ারহোল্ডাররা উপস্থিত ছিলেন। ইলেক্ট্রনিক্স পদ্ধতিতে লটারী সম্পন্ন করেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষকদের বিশেষ প্রতিনিধি দল। বিনিয়োগকারীরাসহ সংশ্লিষ্ট সকলে ওয়েব সাইটে লাইভ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
এনআরবিসি ব্যাংক কোম্পানীর শেয়ার আবেদন গ্রহণ করা হয় গত ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এতে ১২০ কোটি টাকার শেয়ারের বিপরীতে ৮ দশমিক ৭২৯ গুণ আবেদন জমা পড়ে। ১০ টাকা ইস্যু মূল্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ৬০ শতাংশ শেয়ার এবং যোগ্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগাকারীদের জন্য ৪০ শতাংশ শেয়ার বরাদ্দ করা হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সিডিবিএল, ইস্যু ম্যানেজার এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনার্স ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং এএফসি ক্যাপিটাল লিমিটেড এবং পোস্ট ইস্যু ম্যানেজার ইউক্যাসের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি বিনিয়োগকারীদের জন্য http://nrbcbank.ipolotterybd.net সম্প্রচার করা হয়।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমাল বলেন, ব্যাংকের আইপিও আবেদনে ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। ব্যাংকের প্রতি গ্রাহকদের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতিফলন এটি। বাজারে নিবন্ধিত হওয়ার মাধ্যমে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে। জনগণের প্রকৃত মালিকানা নিশ্চিত করার মাধ্যমে ব্যাংকের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা অটুট রাখবো। সাধারণ মানুষের প্রয়োজনকে প্রাধান্য দিয়ে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে গ্রামাঞ্চলের সর্বত্র সেবার প্রসার ঘটাবো।
উল্লেখ্য, কোম্পানিটির আইপিওতে বাংলাদেশি সাধারণ বিনিয়োগকারী, ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী এবং প্রবাসী বাংলাদেশি ক্যাটাগরিতে বরাদ্দকৃত ৬০ শতাংশ বা ৭২ কোটি টাকার শেয়ার পেতে ৫৯৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা জমা পড়ে। আর যোগ্য বিনিয়োগকারীদের ৪০ শতাংশ বা ৪৮ কোটি টাকার কোটায় ৪৫২ কোটি ৩৮ লাখ ৩৫ হাজার টাকার আবেদন জমা পড়েছে। এনআরবিসি ব্যাংক তালিকাভুক্ত হলে দেশে তালিকাভুক্ত ব্যাংকের সংখ্যা দাঁড়াবে ৩১টিতে।