মহামারী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষায় ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী ছাত্র-ছাত্রীদের ভ্যাকসিনের নিবন্ধন শুরু হয়েছে। শুক্রবার (২০ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) রাতে সুরক্ষা অ্যাপে দেখা যাচ্ছে ১৮ বছর বা তদূর্ধ্ব শিক্ষার্থীদের জন্য ভ্যাকসিনের নিবন্ধন অপশন চালু করা হয়েছে।
এর আগে টিকা নেয়ার জন্য সর্বনিম্ন বয়সসীমা ২৫ বছর নির্ধারণ করেছিল সরকার। দেশে চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড দিয়ে প্রথম টিকা কার্যক্রম শুরু হয়।
৮ ফেব্রুয়ারি করোনার টিকা নিতে নিবন্ধনের জন্য ৪০ বছর বয়সসীমা নির্ধারণ করে সরকার। সেদিন দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই নির্দেশনা দেন। এর আগে ৫৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের টিকার জন্য নিবন্ধন করার অনুমোদন দেয়া হয়েছিল।
ওই সময় টিকা নেয়ার জন্য ৪০ বছরের বেশি বয়সীরা ছাড়া শুধু চিকিৎসাসেবার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ব্যক্তি, পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনীতে কর্মরত ব্যক্তিসহ করোনা মোকাবিলায় নিয়োজিত সম্মুখসারির যোদ্ধারা নিবন্ধন করতে ও টিকা নিতে পারছিলেন।
গত ৫ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ড. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন, এখন থেকে ৩৫ বছর বয়সীরাও নিবন্ধন করতে পারবেন।’
মহাপরিচালক বলেন, ‘বর্তমানে চল্লিশোর্ধ্ব ব্যক্তিরা করোনার টিকা প্রাপ্তির জন্য নিবন্ধন করতে পারছেন। এটি এখন কমিয়ে আনা হয়েছে। ৩৫ বছরের ব্যক্তিরা নিবন্ধন করতে পারবেন। নিবন্ধনের ক্ষেত্রে কৃষক-শ্রমিকদেরও যুক্ত করা হচ্ছে।’
এরপর, গত ১৯ জুলাই করোনার টিকা নেওয়ার সর্বনিম্ন বয়স ৩০ বছর নির্ধারণ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদফতরের গঠিত ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য ডা. শামসুল হক গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।