মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড (এমটিবি) সম্প্রতি এশিয়ামানি কর্তৃক প্রদত্ত ‘বেস্ট ব্যাংক ফর ডাইভারসিটি এন্ড ইনক্লুশন ইন বাংলাদেশ ২০২২’ অ্যাওয়ার্ড অর্জন করলো। ব্যাংকের মধ্যে ও বাইরে বয়স, লিঙ্গ, অক্ষমতা, জাতি, গোত্র এবং সামাজিক শ্রেণি নির্বিশেষে সকল ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য, ন্যায্যতা এবং অন্তর্ভুক্তি বিষয়ক পদক্ষেপসমূহ গ্রহণ ও বাস্তবয়ায়নের মাধ্যমে কর্মক্ষেত্র ও দেশের মধ্যে অগ্রগামী হিসেবে এমটিবি’কে তুলে ধরেছে যা এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জনের ক্ষেত্রে ব্যাংকটিকে এগিয়ে দিয়েছে।
এমটিবি তাদের গ্রাহকবৃন্দ এবং কর্মীদের উভয়ের জন্য সমতা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে দেশে ক্রমবর্ধমান অগ্রগামী হিসেবে স্বীকৃত। সকল স্টেকহোল্ডারদের জন্য সমতা বৃদ্ধি করা এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সংস্কৃতি ও সুযোগ বিকাশের প্রয়াসে, এমটিবি নতুন এবং উদ্ভাবনী ব্যাংকিং সমাধান, নীতি এবং অনুশীলনের দিকে ঝুঁকছে। এ প্রসঙ্গে এমটিবি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী, সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন – অন্তর্ভূক্তিমূলক একটি সংস্কৃতি ও দলগত মনোভাব প্রতিষ্ঠার প্রয়াসে এমটিবি একটি কর্মীবাহিনী লালনপালন করছে যা বিভিন্ন ধরণের কর্মী, দৃস্টিভঙ্গি ও মতামতের সমন্বয়ে গঠিত এবং একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে সংঘবদ্ধ হয়েছে। সত্যিকারের বৈচিত্র্য, সমতা এবং অন্তর্ভুক্তি অর্জনের জন্য ব্যাংকটি ধারাবাহিক উদ্যোগসমূহ বাস্তবায়ন করে চলেছে।
এমটিবি’র অপরাজিতা প্লাটফর্ম সকল নারী কর্মীদের অগ্রগতির জন্য নিবেদিত। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে যেকোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য লিঙ্গ ভারসাম্য বজায় রাখা কঠিন একটি কাজ হিসেবে পরিগণিত হয়, তাই এমটিবি তার লিঙ্গ ভারসাম্য উন্নত করার জন্য একটি এপ্রোচ তৈরি করেছে। স্থানীয় ব্যাংকিং শিল্পে নারীদের অংশগ্রহণ প্রায় ১৯%। সেখানে এমটিবি-তে নির্বাহী পদসমূহে ১৫% নারী কর্মরত রয়েছে।
রহমান বলেন, ব্যাংক তার নিজস্ব লিঙ্গ-সমতা বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ – বিশেষ করে শীর্ষ ব্যবস্থাপনা স্তরে – এমনকি একই লক্ষ্যে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানে অর্থায়নের ক্ষেত্রেও। সামনে অপরাজিতা ফোরাম একটি ভারসম্যপূর্ণ সংস্কৃতি তৈরি করতে চায় যা নারী কর্মীদের তাদের কর্মজীবনে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের জন্য সমান সুযোগের বিকাশ করবে। নারী কর্মীদের জন্য মাতৃত্বকালীন ছুটির নীতি ছাড়াও, পিতৃত্বের দায়িত্ব পালনের জন্য এমটিবি তাদের পুরুষ কর্মীদের জন্য সাত দিনের পিতৃত্বকালীন ছুটিরও প্রচলন করেছে। এমটিবি বিষয়টিকে পারিবারিক দায়িত্বের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের ভারসম্যপূর্ণ অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করার অবদান হিসেবে দেখে।
এমটিবি বাংলাদেশের দ্রুত জিডিপি প্রবৃদ্ধির সুবিধা ছড়িয়ে দেয়ার দিকে সমানভাবে মনোযোগী। এমটিবি ৪৫,০০০ গ্রাহককে ঋণ প্রদান করে ২০২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত কৃষি-ঋণ বিতরণ লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। বিতরণ করা ঋণের শতকরা ৭৮ ভাগ ৩২,৭৬৮ মহিলা গ্রাহকদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এমটিবি ক্লাস্টার অর্থায়নকেও অগ্রাধিকার দিচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, এমটিবি ২০২১ সালে বুনন শিল্পক্ষেত্রে একটি প্রতিশ্রুতিশীল কেন্দ্র টাঙ্গাইল জেলার পাথরাইল হ্যান্ডলুম ক্লাস্টারের মাইক্রো-এন্টারপ্রাইজসমূহে অর্থিক সহায়তা বাড়িয়েছে। সেখানে প্রায় ৫০ জন উদ্যোক্তা ঐতিহ্যবাহী শাড়ি ও সালোয়ার কামিজ তৈরি করছেন। এই ক্লাস্টারে ৪% অগ্রাধিকারমূলক সুদের হারে ১৪.৯০ মিলিয়ন টাকা (প্রায় ১৬০ হাজার ইউএস ডলার) বিতরণ করা হয়েছিল।
এইভাবে, এমটিবি মনে করে যে এমটিবি’র ভূমিকা জাতীয় ঐতিহ্যকে সমর্থন ও সংরক্ষণে অবদান রাখছে এবং জাতীয় অগ্রগতিতে অংশগ্রহণ করছে।