ওমিক্রনের বিস্তার বাড়তে থাকায় কাপড়ের রঙিন মাস্ক ব্যবহার ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্রাইমারি হেলথ কেয়ার সার্ভিসের প্রফেসর ট্রিশ গ্রিনহালগ বলেন, মাস্ক তৈরিতে ব্যবহৃত ফ্যাব্রিকের উপর এর কার্যকারিতা নির্ভর করে।
কয়েকটি মিশ্র ফেব্রিকের তৈরি ডাবল বা ট্রিপল-লেয়ার মাস্কগুলো বেশ কার্যকরি হলেও তার মতে, বেশিরভাগ মাস্ক ব্যবহৃত হয় ‘ফ্যাশন আনুষাঙ্গিক’ হিসেবে।
বিশ্বব্যাপী ওমিক্রনের বিস্তার বাড়তে থাকায় বিভিন্ন দেশের সরকার নানা বিধিনিষেধ আরোপ করে চলেছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে গণপরিবহন, দোকান এবং কিছু ইনডোর ভেন্যুতে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে ব্রিটেন।
গ্রিনহালঘ বলেন, “একটি কাপড়ের মাস্কের প্রধান সমস্যা হলো সেগুলোর কোনো ধরনের স্বাস্থ্য মান পূরণ করতে হয় না। কিন্তু যারা এন৯৫ রেসপিরেটর মাস্ক তৈরি করে, তাদের এই মাস্কের ৯৫ শতাংশ কণা ফিল্টারের কার্যকারিতার বিষয়টি প্রমাণ করতে হয়।”
তবে, কেবল ভালো মাস্ক পরলেই চলবে না। মাস্ক পরার পর নাক এবং মুখ সঠিকভাবে ঢেকে না রাখলে এতে জীবাণু সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও, এমন মাস্ক পরা উচিত যাতে সহজেই শ্বাস নেওয়া যেতে পারে।
পরিবেশের কথা চিন্তা করে এবং পুনঃব্যবহারের জন্য কাপড়ের মাস্ক বেছে নেন অনেকেই। কানাডিয়ানদের ইতোমধ্যেই এক স্তরের কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার বন্ধের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
সিটিভি নিউজের সাথে এক সাক্ষাৎকারে অন্টারিও সায়েন্স অ্যাডভাইজরি টেবিলের প্রধান পিটার জুনি বলেন, “এসব মাস্কের মূল সমস্যা হলো এগুলো একস্তরী। ফলে, এতে জীবাণুর কণা ফিল্টার করার সুযোগ খুবই কম। এতে আদতে কোনো উপকারই হয়না।”