করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ বিস্তার রোধে দেশের সব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া যেসব দেশে ‘ওমিক্রন’ শনাক্ত হয়েছে সেসব দেশে যাত্রীদের আসা-যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারিসহ চারটি সুপারিশ করেছে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
কারিগরি পরামর্শক কমিটির ৪৮তম সভায় বিশদ আলোচনার পর এসব সুপারিশ করা হয়। এ ঘোষণার পর পরই দেশের সব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থাকার নির্দেশ দিয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশের সঙ্গে আফ্রিকার দেশগুলোর সরাসরি যোগাযোগ না থাকলেও যারা আফ্রিকার দেশগুলো থেকে ট্রানজিট নিয়ে দেশে আসবে তাদের স্ক্রিনিংয়ের আওতায় আনার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : ওমিক্রন : দক্ষিণ আফ্রিকা ও সংক্রমিত দেশে থেকে যাত্রী আগমন বন্ধের সুপারিশ
বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইতোমধ্যে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যানের সঙ্গেও সতর্কতা ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলেছি। পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমদের যেসব নির্দেশনা দেওয়া হবে, আমরা সেগুলো বাস্তবায়ন করব।’
তিনি বলেন, ‘আফ্রিকার দেশগুলো থেকে ট্রানজিট নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করা প্রত্যেককে স্ক্রিনিংয়ের আওতায় আনা হবে। যাত্রীদের প্রতি আমার অনুরোধ তারা যেন অন্তত নিজের পরিবারের কথা চিন্তা করে হলেও সতর্ক হন। এ ছাড়া বাংলাদেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে তাদের সরকারের নির্দেশনাগুলো মেনে চলার অনুরোধ করছি।’
গত মঙ্গলবার দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার নতুন এ ধরনটি প্রথম শনাক্ত হয়। এর একদিন পরই এই ধরনকে ‘ওমিক্রন’ নাম দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।