ওমিক্রন সংশ্লিষ্ট কারণে বছরের শুরুতেই কমপক্ষে ৫ হাজার ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। ফ্লাইটঅ্যাওয়ার ডট কমের তথ্যমতে, রোববার গ্রিনিচ মান সময় রাত ৮টা পর্যন্ত এসব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রগামী ২ হাজার ৭৩৯টি ফ্লাইটছিল। বলা হয়েছে, এদিন বিশ্বে কমপক্ষে ১১ হাজার ২০০ ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে স্কাইওয়েস্টের। তাদের বাতিল করা ফ্লাইটের সংখ্যা ৫১০। এরপরেই রয়েছে সাউথওয়েস্ট। তাদের ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে ৪১৯টি।
ওমিক্রন সতর্কতায় শনিবারও সারাবিশ্বে ১১ হাজার ৪৩টি ফ্লাইট চলাচলে বিলম্ব ও বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে ৫ হাজার ৯৯৩টি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লাইট।
মার্কিন শীর্ষ রোগতত্ব বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি ফাউসি বলেন, শুধু আক্রান্তের সংখ্যা গণনা নয়, বরং টিকাদানের মাধ্যমে সবাইকে নিরাপদ রাখার দায়িত্ব নিতে হবে। ওমিক্রন দেশটিতে স্বাস্থ্য সেবাকে ভেঙে দেবে বলে আবারও উদ্বেগ প্রকাশ করেন ফাউসি।
আরও পড়ুন : মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ হওয়ার সময় শেষ
যুক্তরাষ্ট্রে বৃদ্ধি পেয়েছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। এর ফলে আজ সোমবার থেকেই বিপুল পরিমাণ কোম্পানি তাদের কর্মীদের অফিসে যাওয়া অনুৎসাহিত করেছে। তাদেরকে বাসায় বসে কাজ করতে বলেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রে শনিবার নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কমপক্ষে তিন লাখ ৪৬ হাজার ৮৬৯ জন। এদিন মারা গেছেন ২৭৭ জন।
সব মিলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ২৮ হাজার ৫৬২। এ অবস্থায় ভাল আর্থিক প্রণোদনা প্রস্তাব করা হলেও ছুটির সময়টাতে ওভারটাইম কাজ করতে অস্বীকৃতি জানায় এয়ারলাইনগুলোর কেবিন ক্রু, পাইলট ও সাপোর্টিং স্টাফরা। অনেকেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় আছেন। তারা বেপরোয়া অনেক যাত্রী আছেন, তাদেরকে সামাল দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তারা।