কমানো হচ্চে চেক ডিজঅনারের মামলায় সাজার পরিমাণ এবং জরিমানার পরিমাণও। বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবে সাজার পরিমাণ এক বছর থেকে কমিয়ে ছয় মাস ও জরিমানার পরিমাণ চেকে বর্ণিত টাকার পরিমাণের তিন গুণের পরিবর্তে দ্বিগুণ করা কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে।
নেগোসিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট অ্যাক্টে চেক ডিজঅনারের মামলায় এক বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। সংশ্লিষ্ট যে পরিমাণ টাকা উল্লেখ করা হয় তার তিন গুণ জরিমানা করা হয়। অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা আছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, আইনটি অনেক ক্ষেত্রেই অপপ্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে। এতে গ্রাহক নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। অপর দিকে ব্যাংকিং কার্যক্রমেও বাধার সৃষ্টি হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইনটি অনেক পুরনো। বর্তমানে এর প্রয়োগ নিয়েও সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। আর বেশি সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে। অনেকসময় ব্যবসায়ীদের অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত অর্থ থাকে না। তাদের লেনদেন হয় চেকের মাধ্যমে। সাধারণত অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত অর্থ রেখেই চেক প্রদান করতে হয়। এখন কেউ অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা জমা না রেখে চেক দিলে আর ওই চেক উত্থাপন করে ডিজঅনার হলে অনেকেই গ্রাহকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে থাকে। আর মামলা হলেই চেকে বর্ণিত তিন গুণ অর্থ জরিমানা গুনতে হয়। একই সাথে এক বছর পর্যন্ত সাজা খাটতে হয়। এ কারণে আইনটি প্রয়োগের ক্ষেত্রে অনেক কিছুই বিবেচনা করতে
আবার গ্রাহকের কাছ থেকে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ঋণ আদায়ের গ্যারান্টি হিসেবে টাকার অঙ্ক উল্লেখ না করেই চেক রেখে দেয় ব্যাংকগুলো। এতে গ্রাহক কোনো কারণে টাকা পরিশোধ না করলে ইচ্ছেমাফিক খালি চেকে টাকার অঙ্ক বসিয়ে চেক ডিজঅনারের মামলা দায়ের করা হয়। এতে অনেক ক্ষেত্রেই গ্রাহক হয়রানির শিকার হন।
বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে গ্রাহকের পক্ষ থেকে অভিযোগ আসে। এসব কিছু বিবেচনায় নিয়ে আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এটি সংশোধন হলে এর সঠিক প্রয়োগ হবে। ব্যাংক ও গ্রাহক উভয়ই উপকৃত হবে।