রবিবার, ২৪শে নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

UCB Bank

করোনার মধ্যেই গার্মেন্ট কারখানা খুলছে আজ

প্রকাশঃ

প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি নিয়েই আজ খুলছে তৈরি পোশাক খাতের কিছু কারখানা। শুরুতে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জের নিটওয়্যার খাতের কিছু কারখানা খুলবে। এরপর ধাপে ধাপে সাভার, গাজীপুরসহ অন্য এলাকার কারখানাও খুলবে। তবে যেসব কারখানার হাতে রপ্তানি আদেশ রয়েছে, সেসব কারখানাই প্রাথমিকভাবে খুলবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, কারখানা খোলার ক্ষেত্রে কী ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে, তা নিয়ে পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ একটি গাইডলাইন তৈরি করেছে। ওই গাইডলাইন অনুযায়ী, দূরবর্তী এলাকা কিংবা ঢাকার বাইরে চলে যাওয়া শ্রমিকদের বাদ দিয়ে আপাতত কারখানার কাছাকাছি থাকা শ্রমিকদের দিয়ে উৎপাদন কাজ চালানো হবে।

শর্ত সাপেক্ষে কারখানা খুলছে বলে জানিয়েছেন কলকারখানা প্রতিষ্ঠান ও পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শিবনায় রায়। তিনি বলেন, কারখানা খুলতে উপযুক্ত সময়ের ব্যবধানে উদ্যোক্তারা আংশিক এবং ধাপে ধাপে খুলতে হবে। এ ছাড়া কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বিজিএমইএর সহসভাপতি এম এ রহিম ফিরোজ বলেন, দেশের অর্থনীতি তো টিকিয়ে রাখতে হবে। অর্থনীতির স্বার্থে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং পর্যায়ক্রমে অঞ্চলভিত্তিক অল্প শ্রমিক দিয়ে কারখানা খোলার দিকে যাচ্ছি আমরা। প্রধানমন্ত্রীও ধীরে ধীরে কারখানা সচল করার বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন।

মালিকপক্ষ কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নিলেও শ্রমিকসংগঠনগুলো বর্তমান করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী পরিস্থিতিতে কারখানা চালু না করার পক্ষে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল বাংলাদেশ কাউন্সিলের (আইবিসি) সাবেক মহাসচিব কুতুবউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, এরই মধ্যে দুই শতাধিক শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে কারখানা খুললে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটতে পারে। কোনো ক্রমেই কারখানা খোলা উচিত হবে না।

শিল্পাঞ্চল পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এখন পর্যন্ত গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন খাতের দুই থেকে আড়াই শ শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। অবশ্য বিজিএমইএর পরিচালক ও তুসুকা গার্মেন্টের চেয়ারম্যান আরশাদ জামাল দীপু মনে করেন, গার্মেন্টে করোনায় আক্রান্ত শ্রমিকের সংখ্যা খুবই কম।

তিনি বলেন, বেশিসংখ্যক শ্রমিক আক্রান্ত হলে নিশ্চয়ই এসব খবর চাপা থাকত না। তিনি বলেন, শ্রমিকদের কারখানায় ঢোকার ক্ষেত্রে থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে জ্বর পরিমাপ করা, জীবাণুমুক্ত করা, কমসংখ্যক শ্রমিক দিয়ে কাজ চালানো এবং শ্রমিকদের মধ্যে প্রায় পাঁচ ফুট দূরত্ব নিশ্চিতসহ স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ ছাড়া শিল্পাঞ্চলগুলোতে শ্রমিকের করোনা পরীক্ষা করার বিষয়ে আলাদা ব্যবস্থার বিষয় নিয়েও আলোচনা চলছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই গতকাল শনিবার কারখানা খোলাসহ সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে পরামর্শসভা করে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।

শেয়ার করুনঃ

উপরের পোস্টটি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?

আপনার মন্তব্য লিখুন!
এখানে আপনার নাম লিখুন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

এই মাত্র প্রকাশিত

এই বিভাগের আরও সংবাদ