দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৫৯৯ জনে। এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৬৮৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনা শনাক্ত হলো মোট ৫ লাখ ১৫ হাজার ১৮৪ জনের।
শনিবার (০২ জানুয়ারি ) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৯৬৪ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৫৯ হাজার ৬২০ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৮০টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১১৪টি, জিন-এক্সপার্ট ২৬টি, র্যাপিড অন্টিজেন ৪০টি। এসব ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে নয় হাজার ৫০৯টি। আগের নমুনাসহ মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে নয় হাজার ৭০১টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩২ লাখ ৪৯ হাজার ৪০২টি।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হার সাত দশমিক ০৫ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ২১ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৮ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে নাসিমা সুলতানা জানান, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ২৩ জনের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ ও নারী ছয় জন। এদের মধ্যে রয়েছেন ঢাকা বিভাগে ১৪ জন, রংপুর বিভাগে তিন জন। চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহ বিভাগে দুই জন করে চার জন। এছাড়া রাজশাহী ও খুলনা বিভাগে এক জন দুই জন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালেই মারা গেছেন ২৩ জন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ১১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে সাত জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে দুই জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুই জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে এক জন রয়েছেন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ১০৫ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৯৬ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ৯৬ হাজার ৫৬১ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৮৫ হাজার ১৪৫ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১১ হাজার ৪১৬ জন।