যুক্তরাষ্ট্রের চারটি অঙ্গরাজ্যে কোভিড-১৯-এর প্রতিষেধক বা ভ্যাকসিন প্রয়োগের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বহুজাতিক ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ফাইজার ইনকরপোরেটেড।
নভেল করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক তৈরি করেছে- এমন প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ফাইজার ইনকরপোরেটেড অন্যতম। সম্প্রতি ফাইজার করোনা প্রতিরোধে তাদের তৈরি সম্ভাব্য ভ্যাকসিন ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকর বলে দাবি করেছে। এবার পরবর্তী ধাপে গতকাল সোমবার নিজেদের ভ্যাকসিনের সরবরাহ ও প্রয়োগ কর্মকাণ্ড সফল করতে প্রাক-প্রস্তুতি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের রোড আইল্যান্ড, টেক্সাস, নিউ মেক্সিকো ও টেনেসি অঙ্গরাজ্যে পাইলট প্রকল্প শুরু করার ঘোষণা দেয় ফাইজার। কেন এই চারটি অঙ্গরাজ্যকে পাইলট প্রকল্পের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে, সে ব্যাখ্যাও দিয়েছে ফাইজার।
ওষুধ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, অঙ্গরাজ্যগুলোর জনসংখ্যার ভিন্নতা, বিভিন্ন ধরনের জনগোষ্ঠীর বসবাস, টিকা প্রয়োগ সংক্রান্ত অবকাঠামোসহ এসব অঙ্গরাজ্যের শহুরে ও গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দাদের কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করে এই চারটি অঙ্গরাজ্য বেছে নেওয়া হয়েছে।
তবে পাইলট কার্যক্রম চারটি অঙ্গরাজ্যে চললেও ভ্যাকসিন প্রয়োগের পূর্ণাঙ্গ কর্মকাণ্ড শুরুর সময় এসব অঙ্গরাজ্য বাড়তি সুবিধা পাবে না কিংবা প্রাধান্য পাবে না বলে ফাইজার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।
ফাইজার গত মার্চ মাসে জার্মান জৈবপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেকের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে করোনার ভ্যাকসিন তৈরির কাজ শুরু করে। ফাইজার-বায়োএনটেক গত সোমবার তাদের ভ্যাকসিনের প্রাথমিক তথ্য প্রকাশ করে। তাতে দেখা যায়, তাদের ভ্যাকসিন ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকর।
এদিকে ফাইজারের ভ্যাকসিনের তথ্য সামনে আসার পর শিরোনামে উঠে এসেছে মার্কিন সংস্থা মডার্না ইনকরপোরেটেডের প্রতিষেধকের কথা। মার্কিন সংস্থা মডার্না ইনকরপোরেটেডের প্রতিষেধক বা ভ্যাকসিন এখন পর্যন্ত ৯৪ দশমিক ৫ শতাংশ ক্ষেত্রে সফলভাবে করোনাভাইরাস ঠেকাচ্ছে বলে গতকাল সোমবার জানায় সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।