দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী তৌফিক বিন ফাওজান বিন মোহাম্মদ আল-রাবিয়াহকে উদ্ধৃত করে সরকারপন্থী ‘ওকাজ’ পত্রিকার বরাত দিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যারা করোনা ভাইরাসের টিকা নিয়েছেন, তারাই শুধুমাত্র এবারের হজে অংশ নিতে পারবেন।
করোনা ভাইরাস মহামারির কালে এবারের হজ একেবারে ভিন্ন এক অভিজ্ঞতা। হজ অনুষ্ঠিত হবে এই বছরের জুলাই মাসে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, ”যারা এবারের বাৎসরিক হজে অংশ নিতে যান, তাদের অবশ্যই ভয়াবহ করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে টিকা নেয়ার প্রমাণ থাকতে হবে।” সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিত্তিক সংবাদপত্র স্কাই নিউজ অ্যারাবিয়াতেও এই খবরটি প্রকাশিত হয়েছে।
বাংলাদেশের কর্মকর্তারা যা বলছেন, প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখের বেশি মানুষ হজে অংশ নিয়ে থাকেন। এ মাসের মধ্যেই সেই সংক্রান্ত কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুঃ আঃ হামিদ জমাদ্দার বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ”এই রকম একটি খবর আমরা গণমাধ্যমের বরাতে জানতে পেরেছি, তবে এখনো সৌদি আরব থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোন নির্দেশনা পাইনি।” ”তবে আমাদের এই বিষয়েও প্রস্তুতি আছে। আমাদের জন্য বরাদ্দ কোটা অনুযায়ী যারা হজে যাওয়ার জন্য নিবন্ধন করবেন, তাদের আমরা বিশেষ ব্যবস্থায় টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করে দেবো। ফলে তাদের করোনাভাইরাসের টিকা পেতে কোন সমস্যা হবে না।’
প্রতিবছর লাখ লাখ মানুষ অংশ নিয়ে থাকে মুসলমানদের বাৎসরিক সবচেয়ে বড় এই ধর্মীয় জমায়েতে । তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত বছর মাত্র কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে হজের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নতুন নিয়মকানুন অনুসরণ করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, মিনা, আরাফাত, মুজদালিফাহ-র মতো পবিত্র স্থানগুলোয় প্রবেশ করতে হলে অবশ্যই অনুমতি থাকতে হবে।
প্রতিটি প্রবেশ পথে তাপমাত্রা পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকবে। সবাইকে এসব চেকপয়েন্টের ভেতর দিয়ে যেতে হবে।
যাদের জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, ঘ্রাণ বা স্বাদের অনুভূতি হারানোর মতো লক্ষণ থাকবে, চিকিৎসকদের পরীক্ষা নিরীক্ষার পর তাদের একই ধরনের লক্ষণ থাকা মানুষদের গ্রুপে অন্তর্ভুক্ত হয়ে হজে অংশ নিতে হবে।
যাদের এসব লক্ষণ দেখা দেবে, এমন কোন কর্মী হজ কেন্দ্রগুলোয় কাজ করতে পারবে না, যতক্ষণ তারা পুরোপুরি আরোগ্য হন।
হজের সময় সবাইকে মাস্ক পরতে হবে এবং অন্তত দেড় মিটার দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।