করোনা মহামারী চলাকালীন সময়ে ঋণ সুদহার কমিয়েও বছরের প্রথম ছয় মাসে ব্যবসায় প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে সিটি ব্যাংক। গত জানুয়ারি থেকে জুন সময়ে ৪ হাজার ৫৪৪ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে সিটি ব্যাংক। এই সময়ে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণ ১ শতাংশের বেশি কমে নেমে এসেছে সাড়ে ৪ শতাংশে। তবে ঋণের সুদহার একক অঙ্কে নামিয়ে আনার কারণে কমে গেছে ব্যাংকটির আয়।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিন বলেন, করোনাকালে পরিচালন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় গত বছরের জুনের চেয়ে নিট আয় ৫৮ কোটি টাকা কমে গেছে। ব্যাংকের ব্যবসা বাড়লেও নির্দিষ্ট সুদহার বাস্তবায়ন এবং করোনাকালে ব্যবসার নেতিবাচক প্রভাবও আয় কমিয়ে দিয়েছে।
এদিকে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকটির শেয়ারের দাম গতকাল ১০ পয়সা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬ টাকা ৬০ পয়সায়। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ব্যাংকের সম্পদ বেড়েছে ৪ হাজার ৪৫১ কোটি টাকার, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১২ শতাংশ বেশি। ব্যাংকটি বলছে, ঋণের সুদহার কমলেও আমানতের সুদের গড় হার এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে বলে জানিয়েছে ব্যাংকটি। তবে করোনার কারণে অর্থনীতির ধীর গতি ও ঋণের সুদ ৯ শতাংশে নামিয়ে আনার কারণে গত বছরের তুলনায় এ বছরের প্রথমার্ধে সিটি ব্যাংকের মুনাফা ১৭ শতাংশ কমে গেছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যেও বেসরকারি খাতের সিটি ব্যাংকের আমানতে ১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। জানুয়ারি থেকে জুন—এ ছয় মাসে ব্যাংকটিতে আমানত এসেছে ২ হাজার ৮২২ কোটি টাকা। ফলে জুন শেষে সিটি ব্যাংকের আমানত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৪৬৫ কোটি টাকায়। সিটি ব্যাংক জানিয়েছে, গত ছয় মাসে আমানতের সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে, সেটি ১৭ শতাংশ। একই সময়ে নারী গ্রাহকের আমানতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৮ শতাংশ। এ কারণে ব্যাংকটি আশা করছে, আগামী দিনেও কম খরচে আমানত সংগ্রহে বড় ভূমিকা রাখবে এজেন্ট ব্যাংকিং, নারী ব্যাংকিং ও খুচরা পর্যায়ের ব্যাংকিং সেবা।